সৌদি আরবে দেখা গেছে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ। চাঁদ দেখার পর ৪ জুন ২০২৫ সালের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৭ মে) দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছর পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ৪ জুন।
এর আগে সোমবার (২৬ মে) সৌদি হজ মন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
হজ ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি, যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। প্রতিবছর হিজরি চন্দ্রবর্ষের শেষ মাস জিলহজের ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত হজ অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর আরাফা দিবস (৯ জিলহজ) — ৫ জুন পালন করা হবে। আরাফা দিবস হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন লাখো হাজি আরাফার ময়দানে একত্রিত হন এবং জাবালুর রাহমাহ (রহমতের পাহাড়) নামে পরিচিত পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করেন। এখানেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজে শেষ খুতবা প্রদান করেন। এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা রোজা রাখেন।
৫ জুন আরাফা দিবস পালনের পরের দিন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। হজযাত্রীরা এ দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি, জামারাতে কংকর নিক্ষেপ এবং হজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পালন করবেন।
বেশিরভাগ হজযাত্রী হজ পালনের পাশাপাশি মদিনা শহর সফর করেন। মদিনায় ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরীফ অবস্থিত। যদিও হাজিদের জন্য মদিনায় সফর এবং রাসুল (সা.) এর রওজা জিয়ারত হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ নয়। তবে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও রাসুল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা নিবেদনের নিদর্শন হিসেবে মদিনায় সফর করেন।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে ১৮ লাখ মানুষ হজে অংশগ্রহণ করেন। সে বছর সৌদি আরবে তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং প্রচণ্ড গরমে ১,৩০০ জনের বেশি হজযাত্রী মারা যান। বিষয়টি সৌদি আরবে গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রা ও হজ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।
এফপি/টিএ