তিনি খিলাড়ি কুমার। পর্দায় কত সমস্যার সমাধান করেন এক তুড়িতে। পর্দার বাইরেও তাঁর ভাবমূর্তি কারও কারও কাছে খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। কিন্তু একটি ছবি নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে অক্ষয় কুমারকে!
বলিউডের একাংশের দাবি, কোনও ‘হেরাফেরি’ না করেই নাকি জটিল আইনি সমস্যায় জেরবার তিনি। ‘হেরাফেরি ৩’ থেকে পরেশ রাওয়াল নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পরই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মঙ্গলবার কানাঘুষোয় শোনা গিয়েছে, ছবিতে তাঁর অংশের স্বত্ব নাকি এখনও ছাড়েননি প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালা। যার জেরে ছবিটি আদৌ তৈরি করা যাবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
‘হেরাফেরি’তে তিনি আর ‘বাবু ভাইয়া’ চরিত্রে অভিনয় করতে চান না, এ কথা জানিয়ে শুরুতেই ছবি থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছেন পরেশ। ১৫ শতাংশ সুদ-সহ স্বাক্ষরের ১১ লক্ষ টাকাও ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র দেখিয়েছেন পরেশ। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছে প্রযোজনা সংস্থা! এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন খোদ অক্ষয়।
যদিও প্রথম সারির এক হিন্দি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ছবির অভিনেতা-প্রযোজক অক্ষয় কুমারের সংস্থা এবং পরেশের মধ্যে কোনও ‘চূড়ান্ত চুক্তি’ হয়নি। এমনকি ছবির চিত্রনাট্যও নাকি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংবাদমাধ্যমে এ-ও প্রকাশিত, অক্ষয়ের মতো এই ছবির স্বত্বাধিকারী প্রযোজক নাদিয়াদওয়ালাও। যিনি এখনও তাঁর অংশের স্বত্ব অক্ষয়কে ছাড়েননি। এই খবর প্রকাশের পরেই ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এখান থেকেই দ্বিতীয় সমস্যার সূত্রপাত। এক দল যেমন বলছেন, অক্ষয় একা ছবির স্বত্বাধিকারী নন তেমনি ছবির পরিচালক প্রিয়দর্শনের দাবি, নাদিয়াদওয়ালা নাকি মিথ্যা বলছেন। আদৌ তিনি এই ছবির সঙ্গে কোনও ভাবেই আর যুক্ত নন। প্রথম দুটো সফল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির পর ‘হেরা ফেরি’র সমস্ত স্বত্ব বরাবরের জন্য ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রযোজক-অভিনেতা কিনে নিয়েছেন। সেই আইনি কাগজ দেখে তবে প্রিয়দর্শন ছবি পরিচালনায় রাজি হয়েছেন।
তা হলে বিষয়টি কি দাঁড়াল? ‘হেরা ফেরি ৩’-এর ভবিষ্যৎ সত্যিই বিশ হাত পানিতে? অক্ষয় কি আরও জটিল আইনি সমস্যায় জড়িয়ে যাবেন? সমাধানের অপেক্ষায় বলিউড।
এফপি/টিএ