দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে এক সময় যাঁর নাম মানেই ছিল বক্স অফিস হিটের প্রতিশ্রুতি, সেই পূজা হেগড়ে আজ রয়েছেন কেরিয়ারের এক অনিশ্চিত বাঁকে। ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরমুলু’ ও ‘মহার্শি’-র মতো সুপারহিট ছবিতে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে টলিউডে তাঁর অবস্থান স্পষ্টভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তাঁর তেলুগু অভিষেক হয়েছিল ‘ওকা লাইলা কোসাম’ ছবির মাধ্যমে। এরপর একে একে আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু, এন.টি.আর জুনিয়র, প্রভাস— এই সব সুপারস্টারদের সঙ্গে বড় প্রজেক্টে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু সেই স্বর্ণযুগে ছেদ পড়ে ‘রাধে শ্যাম’, ‘বিস্ট’, ‘আচার্য’ ও ‘সার্কাস’-এর মতো ব্যর্থ চলচ্চিত্রগুলির পর।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ‘গুন্টুর কারাম’ থেকে তাঁর প্রস্থান, যেটি ছিল একটি বিশাল বাজেটের ছবি। এরপর সম্প্রতি সুরিয়ার ‘রেট্রো’ ছবিতেও তাঁর উপস্থিতি ছিল সীমিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ — যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, তাঁকে নাকি আরও কিছু তেলুগু ছবির পরিকল্পনা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে টালিউডের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়েছে শ্রীলীল, রুক্মিণী বসন্ত, ভাগ্যশ্রী বোর্সে প্রমুখ নতুন মুখের দিকে। এমনকি রাম চরণ-এর ‘পেড্ডি’ ছবিতে একটি বিশেষ গানের প্রস্তাব থাকলেও, পূজা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
সমালোচকরা মনে করছেন, পূজার সাম্প্রতিক স্ক্রিপ্ট বাছাইয়ে মৌলিকতার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ চরিত্রেই তিনি গ্ল্যামার-নির্ভর, অথচ পারফরম্যান্সের জায়গায় দুর্বল। এটাই তাঁকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে।
এই প্রেক্ষিতে তিনি নজর দিচ্ছেন হিন্দি সিনেমার দিকে। খুব শিগগিরই তিনি দেখা দেবেন বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে একটি রোম্যান্টিক-কমেডি ছবিতে। এই প্রজেক্ট সফল হলে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন করে নিজের স্থান ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার কিছু অঞ্চলে এখনো তাঁর অনেক ভক্ত আছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, একটি ভালো স্ক্রিপ্ট ও চরিত্র পেলে তিনি আবারও ফিরে আসতে পারেন।
আরআর/টিএ