রজনীকান্ত অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘কুলি’র কাজ শেষ হতে না হতেই দর্শকমহলে শুরু হয়ে গেছে ‘জেইলার ২’ নিয়ে চর্চা। প্রথম পর্বের অসাধারণ সাফল্যের পর এবার প্রত্যাশার পারদ আরও ওপরে। পরিচালনায় রয়েছেন আগের মতোই নেলসন দিলীপকুমার এবং প্রযোজক সংস্থা সান পিকচার্স।
‘জেইলার’ প্রথম পর্বে বক্স অফিসে আয় করেছিল ৬০০ কোটিরও বেশি, এবং সেটি ছিল শুধুমাত্র রজনীকান্তের স্টাইল ও আবেগের অসাধারণ সংমিশ্রণ। এখন সেই উত্তরাধিকার বহন করতেই আসছে ‘জেইলার ২’। কিন্তু নতুন পর্বে কাস্টিং নিয়ে দর্শকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে দ্বিধা ও উত্তেজনার পরিবেশ।
সর্বাধিক আলোচিত বিষয় বিদ্যা বালানের যুক্ত হওয়া। শোনা যাচ্ছে, তিনি হতে পারেন ছবির মূল নারী চরিত্র। এই চরিত্রে প্রথম পর্বে ছিলেন রম্যা কৃষ্ণন, যাঁর অভিনয় ও পর্দা-উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। বিদ্যার আগের দক্ষিণী কাজগুলো যেমন ‘উরুমি’, ‘এনটিআর বায়োপিকস’, বা ‘নেরকোন্ডা পারভাই’ তেমনভাবে সফল হয়নি। তাই দর্শকদের অনেকেই বলছেন — দক্ষিণের আবেগ আর বিদ্যার বলিউডি ভঙ্গি একসাথে মেলে না। অনেকেই মন্তব্য করছেন, “রম্যা ছিলেন পারফেক্ট। বিদ্যা এখনো সেই জায়গা নিতে পারছেন না।”
অন্যদিকে উত্তেজনার উৎস হয়ে উঠেছেন তেলুগু সুপারস্টার নাগার্জুনা। গুঞ্জন চলছে, তিনিই হতে চলেছেন ‘জেইলার ২’-এর মূল ভিলেন। ‘কুলি’-তে রজনীকান্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পর এবার তাদের দ্বন্দ্ব একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রা পাবে বলেই ধারণা। নাগার্জুনাকে ভিলেন রূপে দেখা গেলেও সেটি হবে এক সাহসী ও স্টাইলিশ রূপ — এমনটাই আশা করছেন ফ্যানরা।
এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, নন্দামুরি বালাকৃষ্ণ এই ছবিতে একটি বিশেষ ক্যামিও করতে পারেন। যদি তা সত্যি হয়, তবে অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার দর্শকদের মধ্যে সিনেমার প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে। একে বলা হচ্ছে একটি প্যান-ইন্ডিয়া হাইপ তৈরির অন্যতম হাতিয়ার।
তবে ছবির সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রথম পর্বের আবেগ, গল্প এবং বক্স অফিস সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়া। একটি সফল সিনেমা বানানো যেমন কঠিন, তার চরিত্রগুলোকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা তার চেয়েও কঠিন। পরিচালক নেলসনের ওপর এখন সেই চাপ অনেক বেশি — কারণ দর্শকের প্রত্যাশা এবার আকাশছোঁয়া।
বিদ্যা থাকলে তাঁর চরিত্রকে শক্তপোক্ত লেখা ও অভিনয় সুযোগ দিতে হবে। অপরদিকে, যদি নাগার্জুনাকে ভিলেন হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে তা হতে পারে দক্ষিণী সিনেমায় এক নতুন দৃষ্টান্ত। এই মুহূর্তে ‘জেইলার ২’ এর একপাশে বিশাল সাফল্য, অন্যপাশে সম্ভাব্য সমালোচনা।
আরআর/টিএ