মাছ, মুরগি আর ডিমের দামে আগুন!

বাজারে কোনো ধরনের পণ্যের ঘাটতি নেই। বৃষ্টির অজুহাতে মূল্যবৃদ্ধির চাপ পড়েছে নিত্যপণ্যে। সরবরাহ কমার কথা বললেও, ছুটির দিনেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ছিল না ক্রেতাদের ভিড়। এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে অধিকাংশ পণ্যে বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।


শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০-১৫ টাকা, ডিম ডজনপ্রতি ৫ টাকা, মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০-৬০ টাকা এবং দারুচিনি কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যদিও কিছুটা কমেছে চালের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার।

বাজারভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৬০ টাকা। সঙ্গে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০-৭০০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৬০০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা। 

নয়াবাজারের মুরগি বিক্রেতা বলেন, পাইকারি আড়ৎ কাপ্তান বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। পাইকাররা বলছেন খামার থেকে সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি বৃষ্টিতে পরিবহন খরচ বাড়ায় দাম কিছুটা বেশি। এজন্য আমাদের বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মাছের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ বিক্রেতাদের। কাওরান বাজারের মাছ বিক্রেতা জানান, আড়তে মাছ কম আসছে, তাই দাম বেড়েছে। রুই, কাতল, পাবদা থেকে শুরু করে চিংড়ি, টেংরা, শিং ও কৈ—সব ধরনের মাছেই দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আবহাওয়া ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে খুচরা বাজারে চালের দাম কিছুটা কমলেও ডালের বাজার চড়া। মানভেদে প্রতি কেজি মসুর ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯৫-১১০ টাকা। ঈদ সামনে রেখে মসলার বাজারেও প্রভাব পড়েছে। দারুচিনি এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা।

নিত্যপণ্যের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট না থাকলেও বৈরী আবহাওয়া এবং ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এতে চাপে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি জরুরি।

আরএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় : রিজভী Nov 01, 2025
img
জেলেদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি : মৎস্য উপদেষ্টা Nov 01, 2025
img
বিপিএলে খেলার আগ্রহ রোমারিও শেফার্ডের Nov 01, 2025
img
ক্লান্ত টাইগাররা চাঙ্গা হয়ে ফিরবে, দৃঢ় বিশ্বাস লিটনের Nov 01, 2025
img
৪২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড Nov 01, 2025
img
সালমানের মৃত্যুর দিন শাবনূরকে বাসায় আটকে রাখেন ডলি জহুর Nov 01, 2025
img
নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি Nov 01, 2025
img
হ্যালোইনের সাজে নতুন চমক দিলেন অপু বিশ্বাস Nov 01, 2025
img
জ্বালানি খাতের লুটপাট এখনও বন্ধ হয়নি : মান্না Nov 01, 2025
img
অভিনেতা রবি কিষাণকে মেরে ফেলার হুমকি Nov 01, 2025
img
ব্যাটিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় হতাশ বাংলাদেশ, বিরতিহীনতার অযুহাত দিলেন লিটন Nov 01, 2025
img
ষড়যন্ত্র পরিহার করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : আমীর খসরু Nov 01, 2025
img
জুলাই সনদের দরকার নেই, গণতন্ত্র বাস্তবায়নে একটি সংসদ প্রয়োজন: মেজর (অব.) হাফিজ Nov 01, 2025
img
‘টাকার জন্য মা আমাদের বাড়ি জুয়াড়িদের ভাড়া দিতেন’ : ফারাহ খান Nov 01, 2025
img
নির্বাচনের স্বার্থে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক কিছু মেনে নিয়েছে বিএনপি : হাফিজ Nov 01, 2025
img
ফের তানজানিয়ার ক্ষমতায় সামিয়া হাসান Nov 01, 2025
img
২ মাস পর পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে বাড়লো গতি Nov 01, 2025
img
৪ ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক : নুর Nov 01, 2025
img
গোল্ডেন বুটে চুমো দিয়ে এমবাপ্পে বললেন, ‘আরো জিততে চাই’ Nov 01, 2025
img
বিএনপি অর্জুন গাছের ছাল, যখন যার প্রয়োজন কেটে নেয়: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল Nov 01, 2025