তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তামাক কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত কি না ভেবে দেখা দরকার। কারণ তামাক নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের সঙ্গে এটি বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক আইন রয়েছে, কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ হয় না। এবার তামাক নিয়ন্ত্রণে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের ধূমপানে যুবকদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন ‘আমরা তাদের ফাঁদে আর পা দিবো না। ধূমপানের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তামাক কোম্পানির প্রভাব রাষ্ট্রের ওপর এমনভাবে পড়েছে যে, তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়া কঠিন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন কোম্পানি ই-সিগারেট উৎপাদনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ই-সিগারেটে ভীষণ আসক্ত হয়ে পড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে, আইনের অনেক সংশোধন আনা দরকার। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় ৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা দেয়া হয়।
এফপি/এসএন