জামায়াতকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, থুথু দিয়ে ভাসিয়েও দেয়া যাবে না: ড. মাসুদ

জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নতুন সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অনেকে জামায়াতকে শত্রু মনে করে অপমানিত করেন। শেখ হাসিনাও মানুষকে বৈষম্য করেছে। আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছিলাম, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় ফ্যাসিস্টকে তার দলের নেতাকর্মীসহ দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

এ সময় তিনি জামায়াতকে নিয়ে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার সাম্প্রতিক বক্তৃব্যকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, জামায়াতকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, থুথু দিয়ে ভাসিয়েও দেয়া যাবে না। যারা বলেন তারা ওই ফ্যাসিস্টদের মতো আচরণ করলে তাদেরও ফ্যাসিস্টদের মতো পরিণতি হবে।

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে তিনি শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে ২১ বছর পর প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডঃ মাসুদ আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে শহীদদের রক্তেভেজা বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিস্টদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। এ সময় তিনি বাংলাদেশে যেন কোন আধিপাত্যবাদ বিরাজ করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ডঃ ছামিউল হক ফারুকী। এ সম্মেলনে ময়মনসিংহ, নারায়নগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

কর্মী সম্মেলন মঞ্চে কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেন। জামায়াত মনোনীত প্রার্থীরাও দুহাত তুলে উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে দীর্ঘদিন পর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করে। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে এসে জড়ো হতে থাকে।

আরএম/এসএন



Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক জর্ডানকে রুখে দিল বাংলাদেশ Jun 04, 2025
img
কোহলির স্বপ্নপূরণ, ১৮ বছরে প্রথম শিরোপা পেল বেঙ্গালুরু Jun 04, 2025
img
শেখ মুজিব, তাজউদ্দীন আহমদসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল Jun 04, 2025
img
বিদ্যমান সংসদ ব্যবস্থায় নারী এমপিদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক গড়ে ওঠে না : তাসনিম জারা Jun 04, 2025
img
বর্তমান সরকার নির্বাচন কবে দেবে, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে : খৈয়ম Jun 04, 2025
img
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচ নতুন দেশ নির্বাচিত Jun 03, 2025
img
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতি রোধে র‍্যাবের টহল জোরদার Jun 03, 2025
img
দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফের ৬০ বস্তা চাল লুট Jun 03, 2025
img
জাপানের বেসবল কিংবদন্তি আর নেই Jun 03, 2025
img
প্রবাসী ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ায় খুশি জামাল, সিঙ্গাপুর ম্যাচে থাকছে না কিউবা Jun 03, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু Jun 03, 2025
img
চাঁদাবাজির অভিযোগে কবিরহাটে যুবদল নেতা বহিষ্কার Jun 03, 2025
মেয়র পদে শপথ গ্রহণের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি ইশরাকের Jun 03, 2025
img
নিজেকে অনেকটা বদলে ফেলেছিলাম : অনন্যা পাণ্ডে Jun 03, 2025
img
চলন্ত ট্রেনে বয়স্ক দম্পতির ভালোবাসার ছোঁয়া, নেলপালিশ মুহূর্ত ভাইরাল Jun 03, 2025
img
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনারের বৈঠক Jun 03, 2025
img
ওবায়দুল কাদেরের গ্রেপ্তারের খবর নিয়ে যা জানা গেলো Jun 03, 2025
img
ভুটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ Jun 03, 2025
img
শুল্কমুক্তভাবে ভারত থেকে এলো ৯৫টি মহিষ Jun 03, 2025
img
বাংলাদেশে কোটিপতি কমেছে ৭১৯ জন Jun 03, 2025