এস এস রাজামৌলির সঙ্গে মহাকাব্যিক অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ঘরানার ছবি এসএসএমবি টুয়েন্টি নাইনে ডুবে আছেন সুপারস্টার মাহেশ বাবু। তবে এর মাঝেই তাঁর টিম চুপিচুপি তৈরি করছে পরবর্তী বড় পরিকল্পনা। জানা গেছে, এসএসএমবি থার্টি নামের এই ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই আলোচনায় তিনজন নামজাদা পরিচালকের নাম উঠে এসেছে, যাঁরা প্রত্যেকেই নিজের স্টাইল ও দৃষ্টিভঙ্গিতে অনন্য।
বর্তমানে রাজামৌলির পরিচালনায় মহেশ বাবু অভিনীত যে ছবিটি নিয়ে কাজ চলছে, সেটি হবে এক আন্তর্জাতিক ভ্রমণনির্ভর অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার। ছবির শুটিং বা মুক্তির নির্দিষ্ট কিছু এখনো প্রকাশ্যে আসেনি, তবে মাহেশের শারীরিক পরিবর্তন ইতিমধ্যেই ভক্তদের মধ্যে আগ্রহের ঝড় তুলেছে। ঠিক তখনই পরবর্তী ছবি নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে তাঁর টিম, যেখানে লক্ষ্য একটাই—বর্তমান প্রকল্পের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে যাওয়া।

পরবর্তী ছবির জন্য আলোচনায় রয়েছেন তিনজন পরিচালক। প্রথমজন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা, যিনি অর্জুন রেড্ডি, অ্যানিম্যাল ও স্পিরিটের মতো সাহসী এবং আবেগঘন গল্প নির্মাণের জন্য পরিচিত। তাঁর সঙ্গে মাহেশের জুটি মানে হবে বাস্তবতার সঙ্গে তারকাখ্যাতির এক দুর্দান্ত মিশেল। দ্বিতীয়জন নাগ অশ্বিন, যিনি কালকি ২৮৯৮ এডি ছবির সাফল্যের পর এখন আরও বড় পরিকল্পনায় ব্যস্ত। মাহেশের টিম তাঁকেও ইতিমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ছবিটি হতে পারে একেবারে নতুন ধারার উচ্চ চিন্তার কাহিনি। তৃতীয়জন হচ্ছেন বুচি বাবু সানা, যিনি আপাতত রাম চরণকে নিয়ে পেড্ডি নামের ছবি বানাচ্ছেন। তবে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, মাহেশকে নিয়ে নিজের একটি নতুন গল্প লিখছেন। তাঁর ছবিতে যদি মাহেশ অভিনয় করেন, তাহলে আসতে পারে এক আবেগঘন গ্রামীণ পটভূমির কাহিনি, যেখানে বাস্তবতা ও তারকাখ্যাতির এক চমৎকার মিলন ঘটবে।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকে বলছেন, এসএসএমবি টুয়েন্টি নাইন মাহেশ বাবুর ক্যারিয়ারের এক মাইলফলক হতে চলেছে। তাই পরবর্তী ছবির জন্য চাই এমন এক পরিচালক, যিনি শুধু হিট দিতে জানেন না, বরং ভবিষ্যতের জন্য দিশা দেখাতে পারেন। কারণ এখন আর একটি ছবি শুধু ছবি নয়, এটি এক লিগেসি তৈরির পথ। মাহেশ বাবু এখন যে উচ্চতায় দাঁড়িয়ে, তাতে তাঁর প্রতিটি নতুন কাজ হয়ে উঠছে নিজেই এক ইতিহাস। তাই পরবর্তী ছবিটি যাঁর পরিচালনায় হোক না কেন—সেটি হোক ভাঙ্গার কড়া বাস্তবতা, নাগ অশ্বিনের কল্পনার দুনিয়া, কিংবা বুচি বাবুর আবেগঘন গ্রামীণ গল্প—মাহেশ বাবুর লক্ষ্য একটাই, সেই উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে আরও ওপরে উঠে যাওয়া।
এফপি/এসএন