ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) গ্লোবাল অফিসের পরিচালক রাষ্ট্রদূত মিশেল জে সিসন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিবের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রদূত সিসন পররাষ্ট্রসচিবকে আইওএম ফিল্ড এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় মার্কিন কংগ্রেসনাল স্টাফ প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে অবহিত করেন, যার লক্ষ্য মার্কিন নীতিনির্ধারকদের বাংলাদেশে আইওএম’র মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ সম্পর্কে সরাসরি ধারণা দেওয়া।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ২০২৪ সালে রোহিঙ্গা সাড়াদানে মার্কিন সরকার একক বৃহত্তম দাতা দেশ, যা মোট তহবিলের ৬৭% পর্যন্ত অবদান রাখছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব, রাষ্ট্রদূত সিসন আইওএম প্রতিনিধিদলকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান এবং আইওএম’র মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
সিসন ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তার প্রতিক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব টেকসই আন্তর্জাতিক সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং তহবিল হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশে জলবায়ু-সৃষ্ট বাস্তুচ্যুতির ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন এবং সিইজিআইএস-এর সহযোগিতায় জলবায়ু-সৃষ্ট বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ওপর একটি ডাটাবেস তৈরির জন্য আইওএম’র প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শূন্য-সহনশীলতা নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী অভিবাসন এবং মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং আইওএম’র মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর আগস্টে ঢাকা সফর করেছিলেন মিশেল জে সিসন। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংগঠন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
আরএম/এসএন