ঈদ-উল-আজহার দিন শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হলেও, অনেকেই কসাই সংকট ও অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রথম দিন কোরবানি করতে পারেননি।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকে এখনও গরু কোরবানি না দিয়ে দ্বিতীয় দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, তিনি তিনটি গরু রেখেছেন এবং সেগুলো রোববার কোরবানি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “প্রথম দিনে কসাইদের প্রচণ্ড চাপ থাকে, তাই আমরা দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিই।”
একইভাবে মোহাম্মদ হৃদয় নামে আরেকজন জানান, “প্রথম দিনে সবাই ব্যস্ত থাকে। আমরা একটু রিল্যাক্সে কোরবানি দিতে চাই, তাই দ্বিতীয় দিন সকালে দেব।”
চামড়ার বাজারে মন্দা
পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার ও সদরঘাট সংলগ্ন এলাকায় গরুর চামড়ার স্তূপ দেখা গেছে, যেগুলো সন্ধ্যা পর্যন্তও বিক্রি হয়নি।
চামড়া ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন জানান, “বাজারদর ভালো না হওয়ায় অনেকে কিনতে আগ্রহী নন। তবে সকাল থেকে কিছু চামড়া বিক্রি হয়েছে।”
তিনি জানান, বড় গরুর চামড়া ১,০০০ টাকা, মাঝারি আকারের চামড়া ৮০০ টাকা এবং ছোট চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চামড়া কিনতে আসা আসিফ নামে একজন জানান, “সন্ধ্যার দিকে দাম কিছুটা কমে, তাই এই সময়টাই কেনার জন্য ভালো।”
ঈদ-উল-আজহার কোরবানি কার্যক্রম সাধারণত তিন দিনব্যাপী চলে। কেউ প্রথম দিন, কেউ দ্বিতীয় দিন এবং কেউ কেউ তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি করে থাকেন।
আরএম