ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময়। তবে প্রবাসে থেকে সেই ঈদের আনন্দটা যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়—এমনটাই বলছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এ তারকা জানিয়েছেন, দেশে ফিরতে চাইলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। ঈদ উপলক্ষে দেশের একটি গুণমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় জানালেন, দেশের ঈদের সেই চেনা আমেজ তিনি একেবারেই পাচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে পিরোজপুরের ঈদ আর পরিবারের সদস্যদের।
জায়েদ খান বলেন, ‘এখানে ঈদের কোনো অনুভূতি পাই না। দেশে থাকলে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতাম, ভাই-বোনদের সঙ্গে সময় কাটাতাম। এবার সেসব কিছুই করতে পারছি না। আমার কাছে ঈদের মানে পিরোজপুর। ঈদের সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি গাঁথা আমার সেই ছোট শহরেই।’
ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নামাজ পড়ে বন্ধুবান্ধব মিলে আমাদের মহল্লায় আইসক্রিম আর কোমল পানীয়ের স্টল দিতাম, স্পিকারে গান বাজাতাম। বিকেলে যারা বেড়াতে বের হতো, তাদের জোর করে আইসক্রিম খাওয়াতাম আর সেই টাকায় সিনেমা দেখতে যেতাম, সাইকেল ভাড়া করে ঘুরতাম।’
তবে এখনকার ঈদের সঙ্গে তখনকার ঈদের আকাশ-পাতাল পার্থক্য অনুভব করেন জায়েদ খান। শিল্পী হয়ে যাওয়ার পর ঈদের আনন্দের জায়গাটা যেন ছোট হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। দায়িত্ব বেড়েছে, সেই আগের মতো খোলামেলা ঈদ পালন করা সম্ভব হয় না।
জায়েদ খান বলেন ‘এখন ঈদের সময় ভাইবোনদের ছেলে-মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকি, তাদের জীবনটাই ভালো লাগে। ছোটবেলায় কোনো চিন্তা ছিল না। বারবার পোশাক বদলে বাবা-মায়ের কাছ থেকে সালামি নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। এখন তো বাবা-মাও নেই, সেই আনন্দ আর আমেজও নেই’।
প্রবাসে থেকেও দেশে ফেরা আর পরিচিতজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের আশা ছাড়েননি এই অভিনেতা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতেই আবার ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চান তিনি।
এসএম/টিএ