সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের তথাকথিত পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যাদেরকে বরখাস্ত করা হলো, তারা কি অপরাধী? যদি তারা অপরাধী হয়ে থাকেন, তাহলে আজ যখন চিকিৎসা শেষ করে তিনি দেশে ফিরলেন, তখন তাকে গ্রেফতার করা হলো না কেন? তার মানে তার যাওয়াটা অপরাধের পর্যায়ে ছিল না। তাহলে ৩ জন কর্মকর্তাকে যে শাস্তি দিলেন, তা কি সঠিক ছিল?
সঠিক না হলে, তাদের শাস্তিটা কি প্রত্যাহার হবে? অবশ্যই হওয়া উচিত। শাস্তিটা যিনি দিয়েছিলেন, তার কী শাস্তি হবে?
সোমবার (৯ জুন) রাতে ‘কথা’ নামের নিজের ফেসবুক পেজের এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ কামাল বলেন, শাস্তিটা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওনাদের কি শাস্তি হবে? দেখুন, দেশটা কীভাবে চলছে! একজন লোক বিদেশে গিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়েছে, সেই মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দোষী কি দোষী না- তা বিচার করার দায়িত্ব সরকারের। এখন ২০০ লোককে মামলায় আসামি বানিয়ে দেন, তাহলে তারা কী কোনো কর্মকাণ্ড করতে পারবে না?
তিনি বলেন, আর এ মামলা যিনি করেছেন, তার মতলবটা আমি বুজতে চাই। হয়রানি করার জন্য মামলাটা করেছিলেন। মামলা করলেই যদি এমন (সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে যা হয়েছে) আচরণ করা হয়, তাহলে কি এটাকে বিচার বলব? সেটাকে আইনের শাসন বলব আমরা?
এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, কিছু বললেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে বিচার করা হবে- কী করা হবে, না করা হবে, মানে গায়ের জোরে দেশ চলছে? তা তো করেছিল শেখ হাসিনা, আমরা তো সেখান থেকে বাঁচার জন্য নতুন কিছু চেয়েছি।
তাদেরকে এদেশ থেকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। তারপর আমরা কী পাচ্ছি, কী দেখছি এগুলো?
আরএম