ভোলার লালমোহন উপজেলায় যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে কনে পক্ষের বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাঙচুর ও কনেপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হামলার পর খাল সাঁতরে পালিয়ে যান বর পক্ষের সবাই। এ ঘটনায় কনের মা, বাবা, বোন ও চাচা আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১২জুন) দুপুরে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলপাড় এলাকার আনা মিয়া কালু বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কনের ফুফু মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় তার ভাই মো. বিল্লালের বড় মেয়ে সালেহা বেগমের সঙ্গে লালমোহন পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন বরপক্ষ যৌতুক হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণ দাবি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কনেকে উঠিয়ে নিতে কনের বাড়িতে আসেন বরপক্ষের লোকজন। তাদের সঙ্গে কথা ছিল দুপুরে ৫০ জন খাবেন।
কিন্তু তারা এসেছেন ৬৫ জন। বরপক্ষ আসবে শুনে বাড়ির ছোট ছোট মেয়েরা গেট তৈরি করে। তবে বরপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসেই উত্তেজিত হয়ে বলেন, আগে যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণ দিতে হবে। তারপর খাবার খেয়ে তারা কনেকে নিয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, বরে পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে কনের বাবা ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে দেন এবং বাকি টাকা ও স্বর্ণের জন্য বর পক্ষের কাছে সময় চান। এসময় বরের বাবা বলেন একটি বিড়ির টাকা বাকি থাকলেও কনেকে নেওয়া হবে না। এক পর্যায়ে বরের বড় ভাই মো. হাসান উত্তেজিত হয়ে বিয়ে বাড়ি গেট এবং চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বরের সঙ্গে আসা অন্তত ৮-১০জন কনের পরিবারের লোকজনকে এলোপাথাড়ি চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তারা খাওয়া-দাওয়া না করেই কেউ খাল সাঁতরে এবং কেউ নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে মোবাইল ফেনে বর মো. রুবেল জানান, ‘আমি পেছনে ছিলাম। তবে গেটে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তা আমি জানি না।’
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত হয়ে কনে পক্ষের লোকজন থানায় আসলে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়ে তারা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফপি/টিএ