মেহেরপুরে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরা প্রবাসী ইউসুফ আলীর মালামাল ডাকাতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে বিদেশি পণ্য, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে বাবু ওরফে বাবুল (৪০), জামিরুল (২৬), মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাবুল (৫১), সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খোকন পাইকের ছেলে দিপন পাইক (৩৫), নুরপুর গ্রামের রুবেলের ছেলে মো. রাব্বী (২০)।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম জানান, গত ১১ জুন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা-আশরাফপুর কড়ইতলা সড়কে অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন সিঙ্গাপুর ফেরত মো. ইউসুফ আলী এবং তার নানা মো. রেজাউল হক ইজারুল। পথে ডাকাতদের কবলে পড়েন তারা। ৬-৭ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইউসুফের কাছে থাকা সিঙ্গাপুরের ৬৭ ডলার, তিনটি মোবাইল ফোন, চার্জার লাইট, বিদেশি চকলেট, সাবান, শ্যাম্পু, বডি স্প্রে, পেইন রিলিফ মলম, টুথপেস্ট ও সিটি গোল্ডের একটি নেকলেস ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মামলা হলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ১২ জুন সদর ও মুজিবনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাত সদস্যদের নিকট থেকে একটি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, তিনটি সাবান, দুইটি ডাভ শ্যাম্পু, তিন প্যাকেট চকলেট, দুটি বডি স্প্রে, তিনটি ব্যথানাশক মলম, একটি টুথপেস্ট, একটি ফেসওয়াশ, একটি চার্জার লাইট ও একটি সিটি গোল্ড নেকলেস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবু ওরফে বাবুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও গুরুতর জখমসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। দিপন পাইকের বিরুদ্ধে মাদক, দস্যুতা ও চুরির ৩টি এবং জামিরুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতির ২টি মামলা রয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিএ/টিএ