গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে নাট্যকার ও অভিনেতা সমু চৌধুরীর কিছু ছবি। তাতে দেখা যায়, ময়মনসিংহে এক শাহ মিসকিনের মাজারে খালি গায়ে শুয়ে আছেন অভিনেতা; পরনে গামছা। এমতাবস্থায় অভিনেতাকে এভাবে দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার ভক্তরা। কেউ কেউ মনে করেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ কিংবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন সমু। এতে নানা আলোচনার সৃষ্টি হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় অভিনয়শিল্পী সংঘ; স্থানীয়রা প্রশানকে খবর দেয়, তাকে উদ্ধার করে পুলিশ-সেনাবাহিনী।
প্রায়ই দেশের বিভিন্ন মাজারে ঘুরতে যান সমু, তাই গত বুধবার রাতে অভিনেতা গিয়েছিলেন শাহ মিসকিনের মাজারে। জানা যায়, অতিরিক্ত পোশাক না থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে নিজের পরিহিত জামা-কাপড় ধুয়ে দেন এবং গামছা পরে মাজারের একটি গাছের নিচে বিশ্রাম করছিলেন সমু। উঠে দেখেন, তার এই অবস্থা সারাদেশে ভাইরাল!
এরপর ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে খোশগল্পে সময় কাটাচ্ছেন সমু। এছাড়াও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হতেও দেখা যায় অভিনেতাকে।
এরপর দিবাগত রাত তিনটার দিকে সমু চৌধুরীর কাছে যান তার চাচাতো ভাই রাইসুল ইসলাম এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দুই সদস্য সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়; ফিরে আসেন ঢাকায়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, দিনভর এই নাটকীয়তার পর ঢাকায় ফিরে এক আবেগঘন সিদ্ধান্ত নেন সমু চৌধুরী। জানা যায়, যশোরে মায়ের কাছে ফিরে যান এই অভিনেতা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকায় ফিরে শুক্রবার সকালেই যশোরের পথে রওনা হন সমু। গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার চাচাতো ভাই রাইসুল। তার অভিমত, দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফিরেই যেন সব বিভ্রান্তি ভুলে শান্তির পরশ খুঁজে পেতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত অভিনেতার।
রাইসুল জানান, সকাল ১০টার দিকে সমু চৌধুরীকে নিয়ে যশোরের নতুন বাজারের আরএন রোডের বাসায় পৌঁছান। তার কথায়, ‘সারা রাত জার্নি করার কারণে ভাইয়া এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। মায়ের কাছে আছেন।’
রাইসুল আরও জানান, সমু চৌধুরী মাজারভক্ত। কাজ না থাকলে প্রায় সময় তিনি মাজারে যান। এবার ঈদ কাটিয়েছেন যশোরে, মায়ের সঙ্গে। ঈদের ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকার মিরপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন পরিচিত একজনের সঙ্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে যান, এক কাপড়ে। তিনি অভিনেতা হলেও সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত।
কেএন/টিকে