বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের উড়ান দুর্ঘটনায় শোকবার্তা প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রয়াত সঞ্জয় কাপুর। সূত্রের খবর, লন্ডনে গল্ফ খেলার মাঝে আচমকাই এক মৌমাছি ঢুকে যায় সঞ্জয়ের গলায়। আর সেটা বার করতে না পেরেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এতটাই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তৎক্ষণাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী। পরিবার-পরিজনরা চিকিৎসা করানোর সময়টুকুও পাননি। এবার জানা গেল , লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে সঞ্জয় কাপুরের মরদেহ।
মার্কিন মুলুকের নাগরিকত্ব থাকলেও সঞ্জয়ের আসল বাড়ি দিল্লিতে। আর সেই প্রেক্ষিতেই দেশে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু ভারতের নাগরিকত্ব নেই, তাই সঞ্জয়ের মরদেহ দেশে আনার আগে একাধিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে তাঁর পরিবারকে। আর সেইজন্যই শেষকৃত্য দেরি হতে পারে বলে খবর। সঞ্জয়ের বাবা তথা খ্যাতনামা শিল্পপতি অশোক সচদেব জানিয়েছেন, আপাতত লন্ডনে ময়নাতদন্ত চলছে। সেটা শেষ হলেই একাধিক কাগুজে কাজ রয়েছে। সইসাবুত সেরে তবেই ছেলের মরদেহ দেশে আনতে পারবেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে সঞ্জয় কাপুরের শেষকৃত্য দেরি হবে, বলে জানালেন তিনি। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, করিশ্মা কাপুর আপাতত সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন। জানা গেল, প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্যে সন্তানদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন কাপুরকন্যা। কাপুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও উপস্থিত থাকার কথা।

খ্যাতনামা শিল্পপতি সঞ্জয়ের সঙ্গে ২০০৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন করিশ্মা কাপুর। তবে সেই দাম্পত্য সুখকর হয়নি! তাই একদশক সংসার করার পর ২০১৬ সালে করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে ডিভোর্স হয়। তবে বিচ্ছেদ হলেও দুই সন্তানকে বাবার থেকে আলাদা করেননি কাপুরকন্যা। ছুটি পেলেই সামাইরা এবং কিয়ানকে তাঁদের বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। সৎ মা প্রিয়া সচদেবও সামাইরার জন্মদিনে প্রতিবার নিয়ম করে আদুরে ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন জামাইবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে দিদি করিশ্মার মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে মধ্যরাতে ছুটে যান সইফ-করিনা, মালাইকা-অমৃতারা। এই কঠিন সময়ে দিদিকে আগলে রেখেছেন বেবো।
কেএন/এসএন