স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে রাজনৈতিক গোলামির শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান।
তিনি বলেন, ‘আজও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ ও ক্ষমতার হিসাব-নিকাশেই বেশি ব্যস্ত। এই অবস্থার পরিবর্তন জরুরি—জনগণের পক্ষে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, একটি নতুন দিগন্ত রচনার জন্য।’
রোববার (১৫ জুন) বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এবি পার্টি উপজেলা শাখার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল বাসেত মারজান আরও বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন—আমরা কেন নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছি? আমাদের উত্তর সোজা: আমরা পরিবর্তন চাই। এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে, থাকবে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা। আমরা চাই দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা এবং একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজনীতি যেন এক প্রতিযোগিতামূলক খেলা হয়ে উঠেছে—যেখানে প্রতিযোগিতা মানুষের জন্য নয়, ক্ষমতার জন্য। অথচ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনগণের সেবা, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, ও উন্নত রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখা।’
আব্দুল বাসেত মারজান বলেন, ‘আমরা যদি ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠা করতে পারি—যেখানে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে, রাজনীতিতে জবাবদিহিতা থাকবে, সমাজে ন্যায় ও মানবিকতা ফিরে আসবে—তাহলে এই দেশ পরিবর্তন হবেই, ইনশাআল্লাহ।’
উপজেলা আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা এবি পার্টির জেলা সমন্বয়ক মো. খায়রুল আলম, সহকারী সমন্বয়ক মো. মঈনউদ্দিন কামাল রনজু, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির অন্যতম অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম, এবি পার্টির গাইবান্ধা সদর উপজেলার সদস্য সচিব মো. রানা মিয়া, আমার বাংলাদেশ যুব পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসা, উপজেলা কমিটির সদস্য ফনি ভূষণ দাস। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/টিএ