লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক সরকারের দায়মুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাবনায় বাজেট ২০২৫- ২৬’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের দায়মুক্তির বিষয়ে লন্ডনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হকের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, না, কারও দায়মুক্তির বিষয়ে আমাদের আলোচনার কোনো প্রসঙ্গ ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন হয়েছে, সেখানে সাংবিধানিক বৈধতা আছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৬ অনুসারে এটি গঠিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভাইজারি রুল অনুসারে তারা গঠিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংবিধান যেহেতু এখন চালু আছে, সাংবিধানিকভাবেই এই সরকার চলছে। সংবিধান যেভাবে বলছে, উপদেষ্টারা মন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করবেন। মন্ত্রী হওয়ার জন্য সংবিধানের ১৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য যে যোগ্যতা থাকতে হয়, এটা উপদেষ্টামণ্ডলীকে মাথায় রাখতে বলব। সেখানে (সংবিধানে) কিন্তু বিদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টা অনুমোদন করা নেই।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুসারে আপনাদের এই সরকারের অনুমোদন লাগবে পরবর্তী সংসদে। এটাও আপনারা মাথায় রাখবেন। আগামী সংসদে অনুমোদন লাগলে এ সরকারের বৈধতা কীভাবে দেওয়া হবে, কোন জায়গায় দেওয়া হবে সেটা আমরা বিবেচনা করব। সুতরাং জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে অতি দ্রুত যাতে গণতন্ত্রের রূপান্তরের দিকে যেতে পারি, এমন কার্যক্রম আপনারা নেবেন।
এই হিসেবে লন্ডনের আলোচনার সূত্র ধরে, যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে, এটা খুব শিগগিরই নির্বাচন কমিশনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ করবেন বলে আমরা আশা করি। যাতে নির্বাচন কমিশন জনগণের কাছে বলতে পারে, তারা সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনামূলক একটি বার্তা পেয়েছে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
আরএম/টিএ