আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সবসময় সহজ নয়। আর গত তিন বছরে পূজা হেগড়ের পথচলাই তার প্রমাণ। একের পর এক বড় ছবি মুক্তি পেলেও, সেগুলোতে না মিলেছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য, না মিলেছে বিশেষ প্রশংসা। তার সর্বশেষ ছবি 'রেট্রো'-ও দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।
তবুও ভেঙে পড়েননি পূজা। বরং নীরবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। এক আন্তরিক সাক্ষাৎকারে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন— "এটা শুধু একটা খারাপ সময়। এমন সময় আসে, আবার চলে যায়। ধৈর্য ধরতে হয়।"
নিজের ব্যর্থতাকে তিনি লুকোননি, আবার দুঃখের চরিত্রও হয়ে ওঠেননি। তিনি বলেন, জীবনের মতো কাজের জগতেও উত্থান-পতন থাকে। এবং সেটাই স্বাভাবিক।
আজকাল যেখানে অনেকেই সাময়িক ব্যর্থতায় আতঙ্কে ভোগেন, সেখানে পূজা হেগড়ে যেন অন্য পথের পথিক। তিনি না কোনও নাটকীয় রূপান্তরের চেষ্টা করছেন, না অতিরিক্ত প্রচার-প্রচারণায় জড়িয়েছেন। শুধু নিজের কাজে মন দিয়েছেন এবং সময়ের অপেক্ষায় আছেন।
যদিও বড় সাফল্য কিছুদিন ধরা দেয়নি, তবু পূজা এখনো রয়ে গেছেন আলোচনায়। সামনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি— 'কুলি' ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে একটি অতিথি চরিত্রে, 'জন নায়গন' ছবিতে থালাপতি বিজয়ের বিপরীতে মুখ্য নারী চরিত্রে, এছাড়াও জনপ্রিয় ভৌতিক-রসিক ধারার চতুর্থ কিস্তি 'কাঞ্চনা ৪'-এ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
চলচ্চিত্র জগতে একটিমাত্র সফল ছবি বদলে দিতে পারে পুরো গল্প। আর পূজাও সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন।
একজন বিশ্লেষকের মতে, “পূজা এখনও একজন তারকা। তার দরকার শুধু একটি সঠিক ছবি, বড় নাম নয়।”
এই সময়টাকে তাই ফিরে আসার গল্প বলা যায় না। বরং বলা যায়— চাপের মধ্যেও স্থির থেকে, আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার এক বাস্তব উদাহরণ।
নায়িকাদের ক্ষেত্রে যেখানে ধৈর্য রাখা কঠিন হয়ে ওঠে, সেখানে পূজা হেগড়ে প্রমাণ করছেন— সত্যিকারের শক্তি হলো স্থায়িত্ব, সংযম এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করার মানসিকতা।
আরএম/টিএ