গানের ভিডিওর শুটিং করতে গিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর শীতল নামের এক মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভারতের হরিয়ানার সোনিপাতের খরখোদা এলাকায় একটি খাল থেকে ২৩ বছর বয়সী এই মডেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর ভারতের হরিয়ানার এই মডেল সিমি চৌধুরী নামেও পরিচিত ছিলেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলা কাটা ছিল।
তাই প্রাথমিক তদন্তে এটি খুনের ঘটনা বলেই ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় শীতলের প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, শীতলের হত্যাকাণ্ডে কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। শীতলের পরিবার দাবি করছে, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সুনীল বারবার তাঁকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শীতলের হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র ছিল। এসব চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। মরদেহটি সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শীতলের বোন নেহা পুলিশকে জানান, শনিবার একটি ভিডিও কলে শীতলের সঙ্গে তার কথা হয়। এর পর থেকে শীতলের ফোন বন্ধ ছিল। সেই কলেই শীতল অভিযোগ করেছিলেন, তার প্রেমিক সুনীল তাকে মারধর করছেন। রবিবার সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, সেই গাড়ি থেকেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
নেহা আরও বলেন, ‘শীতল আমাকে জানিয়েছিল, সুনীল জোর করে ওকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছে। কথার মাঝপথেই কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে আমি চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পরে রবিবার সকালে জানতে পারি, সুনীলের গাড়ি খালে পড়ে গেছে।’
সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং জানান, শীতলের পরিবার শনিবারই নিখোঁজ ডায়েরি করে, যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্ত শুরুর পর সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় পরিবার সেটিকে শীতলের দেহ বলে শনাক্ত করে। এখনো তদন্ত চলছে।
কেএন/এসএন