৯ মাস পর সেঞ্চুরি, তবুও মুশফিকের কাছে এমন ইনিংস স্পেশাল নয়

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত’র সেঞ্চুরিতে গল টেস্টে এখন পর্যন্ত চালকের আসনে টাইগাররা। এদিন মুশফিক ১০৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। যদিও টেস্টে ১৩ ইনিংস পর তিনি ৫০ রান পার করলেন। ৯ মাস পর টেস্টে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মুশফিক।

মুশফিক ইনিংসটাতে বাউন্ডারির চেয়ে সিঙ্গেল রানকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিয়েছেন। বিলাসী শট খেলার ঝুঁকি নেননি তেমন। ফলে ১৭৬ বলে শতক পূর্ণ করার পথে কেবল ৫টি চার মেরেছেন অভিজ্ঞ এই তারকা। এমন ইনিংস নিশ্চিতভাবেই তার জন্য স্বস্তির। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেও মুশফিক সেই কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জানিয়েছেন কোন ইনিংসসি তার কাছে স্পেশাল!



সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘অবশ্যই স্বস্তিদায়ক (ইনিংস)। কেউই চায় না কম রান করতে। বিশেষত আপনি যখন দেশের হয়ে এতদিন খেলছেন। সবাই চায় সব ম্যাচেই পারফর্ম করতে। এমনটা হয় না সাধারণত। যদি সঠিক কাজটা করে যেতে পারেন, রান আসবে। ফলে প্রক্রিয়া ধরে রাখলে কোনো না কোনো দিন রান আসবেই। যেদিন আসবে সেদিন যেন ইনিংস বড় করা যায়, এটাও মাথায় রাখতে হবে। আমি এমনই করেছি। এখনও শেষ হয়নি। কালকেও চেষ্টা থাকবে রানটাকে বড় করার।’

আজকের ইনিংসটি বিশেষ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘না স্পেশাল কিছু না। ক্যারিয়ার প্রায় শেষদিকে, সব ইনিংসই আমার কাছে স্পেশাল। আমি চেষ্টা করি নিজেকে ১০০ ভাগ প্রস্তুত করার। সামনে যে সুযোগ আসে তা লুফে নিতে চাই। অনেক সময় হয়, অনেক সময় হয় না। যখন বাংলাদেশের হয়ে এখানে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করবেন, এটা অবশ্যই স্পেশাল। এরপর হয়তো সবাই বিশ্বাস করতে পেরেছে এটা সম্ভব। সামনে হয়তো ২৫০ বা ৩০০ রানও করতে পারবে। সিনিয়র হিসেবে সামনে থেকে এখানে লিড দেওয়াটা জরুরি।’

প্রসঙ্গত, গল টেস্টের শুরুতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারালেও শান্ত-মুশফিক মিলে দিনের বাকিটা সময় পার করেছেন। গড়েছেন টেস্টের চতুর্থ উইকেটে দ্বিতীয় (২৪৭ রান) এবং সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ জুটি। প্রথম দিনশেষে শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
 

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খামেনির শেষ সাদ্দামের মতো হতে পারে: ইসরায়েলি মন্ত্রী Jun 18, 2025
img
স্পষ্ট বলেছি, দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের দরকার নাই: প্রিন্স Jun 18, 2025
img
তেহরান থেকে সরানো যাচ্ছে না বাংলাদেশিদের Jun 18, 2025
img
ফোর্ডো কেন্দ্র ধ্বংস অসম্ভব বলেই যুক্তরাষ্ট্রকে চাই নেতানিয়াহুর Jun 18, 2025
img
ফেনীতে ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করছে সরকার Jun 18, 2025
img
জামায়াত আগে ছিল হেলমেট বাহিনী, এখন তারাই টুপি লাগিয়ে হামলা করে: চৌদ্দগ্রাম বিএনপি Jun 18, 2025
img
নেতানিয়াহুর লক্ষ্য ট্রাম্পকে যুদ্ধে নামানো: মারওয়ান বিশারা Jun 18, 2025
img
মার্কিন দূতাবাসে জামায়াত নেতাদের উপস্থিতি, আলোচনায় নির্বাচনী ইস্যু Jun 18, 2025
img
তাপসের ঘনিষ্ঠ খোরশেদ গ্রেফতার Jun 18, 2025
img
ইরানে সরকার পতনের চেষ্টা অরাজকতা ডেকে আনবে: ম্যাক্রোঁ Jun 18, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মিথ্যা সুবিধা নিলে দুই বছর কারাদণ্ড Jun 18, 2025
img
ইরানে সেবা বন্ধ হতে পারে, আশঙ্কায় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা Jun 18, 2025
img
চব্বিশ ঘণ্টায় ২৮টি শত্রু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের Jun 18, 2025
img
আজিমপুরে জনতার হাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আটক Jun 18, 2025
img
ইরান থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দাবি ইসরায়েলের Jun 18, 2025
img
তেহরানে হামলায় আইনি বৈধতা নেই, বলছে মস্কো Jun 18, 2025
img
পুতিন-জিনপিংয়ের কূটনৈতিক বার্তায় ট্রাম্পের প্রভাব স্পষ্ট Jun 18, 2025
img
বিএনপি-সরকার দূরত্ব ঘুচেছে, আন্দোলন থেকে সরে যেতে হতে পারে ইশরাককে Jun 18, 2025
img
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র Jun 18, 2025
img
নতুন অভিযানের ঘোষণা দিল ইসরায়েল Jun 18, 2025