স্পষ্ট বলেছি, দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের দরকার নাই: প্রিন্স

বাংলাদেশের ‘বাস্তবতায়’ দ্বিক্ষক পার্লামেন্টের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)।

মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের পর দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “আমরা কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ এবং বামপন্থিরা স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশের বাস্তবতায় দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রয়োজন নাই।”

প্রিন্স বলেন, "উচ্চকক্ষ গঠনের এক জায়গায় লেখা আছে, দুই কক্ষের সংসদ প্রতিষ্ঠা। আমরা দেখার পর ঐকমত্য কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললাম, কিসের ভিত্তিতে এটা লিখলেন?”

প্রিন্স বলেন, তারা কমিশনের সঙ্গে আগের বৈঠকেও দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের বিরোধিতার কথা বলেছিলেন। সেই বিরোধিতা করার বিষয়টি মঙ্গলবারের বৈঠকেও তুলে ধরা হয়।

“তখন ওনারা স্বীকার করেছেন যে, এই লেখাটা যথাযথ হয় নাই। তার মানে আমাদের বক্তব্যটা বুঝেছেন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে ব্যবস্থা আছে, ওটাকে উন্নত করা, অন্যান্য কাজ আমরা করব।“

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার মুলতবি বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রিন্স বলেন, "আমরা প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে গত বছর ৫ অক্টোবর যখন গেলাম, ওনাকে আমরা যখন লিখিত বলেছিলাম নির্বাচনের জন্য, যা যা সংস্কার করা দরকার এটা করে নির্বাচনের জায়গায় যান। উনি বললেন, আমরা ততটুকুই করব, যেটার সঙ্গে সবাই একমত হয়। ১৯-২০ হলে আলোচনা করে দেখব একমত কিনা।

"এটা আমরা মনে করি গুরুতর বিষয়। দেশবাসীকে জানা দরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নামে ঐকমত্য হওয়া ঠিক না। আমরা আজও বামপন্থিরা বলেছি, পূর্ণাঙ্গ একমত ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করা উচিত না।"

প্রিন্স বলেন, "আমরা পরিষ্কার বলেছি, এগুলো আমাদের প্রস্তাব। আগামীতে কোনো কারণে ফ্যাসিবাদ উত্থান হলে সেটা ঠেকানো, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কার কাজ? এগুলো করবে নির্বাচিত সংসদ; আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।”

"আপনারা খেয়াল করবেন, ঐকমত্যের আলোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের নানা সমস্যা আছে। আমরা চাই কালক্ষেপণ না হোক।"

সরকার যেন এখতিয়ারের বাইরে কিছু না করে, সেই পরামর্শ দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রিন্স বলেন, "ঐকমত্যের চেষ্টা হচ্ছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু করিডর দেওয়া, বন্দর দেওয়া, এগুলো এখতিয়ারবহির্ভূত।

এফপি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মাইলফলক ছোঁয়া হলো না শান্তর, আউট হলেন আক্ষেপ নিয়ে Jun 18, 2025
img
ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল, প্রকাশ্যে এলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দৃশ্য Jun 18, 2025
img
ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান ফিরিয়ে দিল ইরান Jun 18, 2025
img
জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র Jun 18, 2025
img
গুগল-ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধের প্রক্রিয়া আরও সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক Jun 18, 2025
img
শান্তর ভিন্নধর্মী সেঞ্চুরি উদযাপন নিয়ে হাস্যরসে মেতেছে নেট দুনিয়া Jun 18, 2025
img
ইরানের পক্ষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলো রাশিয়া Jun 18, 2025
img
ড. ইউনূসের কাছে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই গিয়েছেন তারেক রহমান: রনি Jun 18, 2025
img
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের জরুরি বৈঠক, যা জানা গেল Jun 18, 2025
img
ইসরায়েলের আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’, দাবি ইরানের Jun 18, 2025
img
কিশোরগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, যুবদল নেতাসহ আহত ২ Jun 18, 2025
img
স্বর্ণের দামে উর্ধ্বগতি, কত দিন স্থায়ী হবে এই উত্থান? Jun 18, 2025
img
আলিয়া ভাটের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন ওয়ামিকা গাব্বি Jun 18, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ইরানের ৯ হামলা, কমছে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা Jun 18, 2025
img
নেতানিয়াহু হলেন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি: এরদোয়ান Jun 18, 2025
img
“মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো” Jun 18, 2025
img
চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি Jun 18, 2025
img
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছে: দাবি ইসরায়েলের Jun 18, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস Jun 18, 2025
img
'খামেনিকে হত্যা করলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন' Jun 18, 2025