'রাজা সাব’ ছবির টিজার প্রকাশের পর বদলে যাচ্ছে আলোচনা। প্রভাস ও পরিচালক মারুতি—এই অনিশ্চিত জুটিকে ঘিরে যে সন্দেহের আবহ তৈরি হয়েছিল, টিজার মুক্তির পর তা অনেকটাই কেটে গেছে। সমালোচক ও দর্শকদের অনেকেই এখন বলছেন, এই ছবি হতে পারে ব্যতিক্রম এক সংযোজন।
‘বাহুবলী’ ও ‘সাহো’র মতো বড় বাজেটের ছবি দিয়ে প্রভাস হয়ে উঠেছেন সার্বভারতীয় জনপ্রিয়তার প্রতীক। বিপরীতে মারুতি মূলত পারিবারিক গল্পনির্ভর মাঝারি বাজেটের ছবির জন্য পরিচিত। সেই কারণেই অনেকে ভাবছিলেন, বাস্তবধর্মী পরিচালকের হাত ধরে প্রভাসের বিশাল স্কেলের তারকা চেহারা কি ধরে রাখা যাবে?
কিন্তু ‘রাজা সাব’-এর টিজার সেই প্রশ্নের জবাব অনেকটাই দিয়ে দিয়েছে। এতে রোমান্স, ভৌতিক থ্রিল আর হাস্যরসের এমন এক মিশ্রণ দেখা গেছে যা আগেও মারুতি তাঁর ছবিতে সফলভাবে করেছেন। তবে এইবার সেই সংমিশ্রণ ভর করেছে প্রভাসের তারকা শক্তির ওপর — এবং আপাতদৃষ্টিতে সেটি বেশ কাজ করেছে।
টিজারে প্রভাসের বহুমাত্রিকতা, গল্পের গতি এবং নির্মাণের ঝলক সোশ্যাল মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। দর্শকদের অনেকে বলছেন, এটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল — কিন্তু খুবই আকর্ষণীয়।
প্রশ্ন এখন একটাই: প্রভাস কি এই ছবির মাধ্যমে তথাকথিত প্যান-ভারতীয় ছবির ধারণা ভাঙতে পারছেন? এতদিন ধরে প্যান-ইন্ডিয়া মানেই ছিল বিশাল বাজেট, পৌরাণিক কাহিনি কিংবা অ্যাকশননির্ভর চিত্রনাট্য। রাজা সাব যদি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয়, তাহলে প্রমাণ হবে — জনপ্রিয়তার মানে কেবল বড় বাজেট নয়, বরং কনটেন্ট ও অভিনয়ের গভীরতা।
এছাড়াও, এই ছবি হয়তো ভবিষ্যতে বড় তারকাদের ছোট বাজেটের নতুন ঘরানার ছবিতে কাজ করার পথও তৈরি করে দেবে।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, ‘রাজা সাব’ হতে পারে এমন এক মোড় ঘোরানো ছবি, যা প্রভাসকে ‘বাহুবলী’র গণ্ডি পেরিয়ে নতুন এক পরিচয়ে তুলে ধরতে পারে। এখন শুধু অপেক্ষা দর্শকের চূড়ান্ত রায়ের।
আরআর/এসএন