তেহরান থেকে বাংলাদেশিরা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব

তেহরান থেকে বাংলাদেশিরা নিরপদ স্থানে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা বা অন্যদের বিষয়ে কোনো হতাহতের খবর নেই। প্রবাসী বাংলাদেশি যারা বিশেষ করে তেহরানে কর্মরত ছিলেন তারাও নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বুধবার আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের দূতাবাসের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা বা অন্যদের বিষয়ে কোনো হতাহতের খবর নেই। প্রবাসী বাংলাদেশি যারা বিশেষ করে তেহরানে কর্মরত ছিলেন তারাও নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। তাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আনুমানিক ৪০০ জনের মতো বাংলাদেশি তেহরানে ছিলেন। এর মধ্যে শতাধিক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে কারণ হটলাইন চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেট বন্ধ আছে, কিন্তু টেলিফোন সংযোগ সম্ভবত চালু আছে। তেহরান শহরের বাইরে যেসব বাংলাদেশি আছেন, বিশেষ করে বন্দর আব্বাসে যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি নেই।

তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে চায় সরকার। এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দূতাবাস যোগাযোগ রেখে তাদের বর্তমান জায়গা থেকে সরিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তুরস্ক বা পাকিস্তান যেখানে সুবিধা হবে সবদিক বিবেচনায় আমরা ব্যবস্থা নেব।

টাকা পাঠানোর জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, দূতাবাসের কাছে কিছু আছে। এছাড়া আমাদের একজন অফিসার ঢাকায় এসেছিলেন এবং ফিরে যাচ্ছেন তেহরানে। তাকে দিয়েও কিছু নগদ অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের কিছু বন্ধুপ্রতিম দেশ তাদের কাছ থেকেও হয়তো আমরা সহায়তা নিয়ে ব্যবস্থা নেই। আইনি প্রক্রিয়ায় ইরানে টাকা পাঠানো যায় না এবং তারা প্রতি মাসে দুবাই থেকে টাকা নিতো। এটি এখন কঠিন এবং এ জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করব।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরান ছাড়ছেন হাজারো আফগান Jun 19, 2025
img
সুইডেনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা Jun 19, 2025
img
নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি আজ শুনলাম : গোলাম মাওলা রনি Jun 19, 2025
img
তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ইরান Jun 19, 2025
img
ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে ৫৩৯ কোটি রূপি জরিমানা Jun 19, 2025
img
প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে ঘটে যেসব উপকার Jun 19, 2025
img
সংঘাতে না জড়ানোর দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ Jun 19, 2025
img
১৮৭ রান করেও হতাশ নিশাঙ্কা, চাইলেন ডাবল সেঞ্চুরি Jun 19, 2025
img
সফরের আগে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Jun 19, 2025
img
ইরান থেকে ট্রাম্পকে সরে আসার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর Jun 19, 2025
img
হাসপাতালে এমবাপে, বাড়ছে রিয়ালের দুশ্চিন্তা Jun 19, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ মাসে ছাড়পত্র পেল ৩৮টি বাংলা সিনেমা Jun 19, 2025
img
মার্কিন হামলার গুজব উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প Jun 19, 2025
img
ইউরোপীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে জেনেভায় আলোচনায় বসবেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Jun 19, 2025
img
নরমাল ডেলিভারির আশায় দুই মাস ধরে থাইল্যান্ডে স্বাগতা Jun 19, 2025
img
মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের Jun 19, 2025
img
'রানার মতো এক্সাইটিং পেসার হয়তো আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ' Jun 19, 2025
img
আ. লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছবি থাকলে সদস্য পদ নবায়ন হবে না : আমিনুল Jun 19, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে পুতিন-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ Jun 19, 2025
img
নগরের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হতে হবে : চসিক মেয়র Jun 19, 2025