প্রয়োজনে নির্বাচন এক দিনে নয়, একাধিক দিনে হবে : মতিউর রহমান

‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না, এই বিষয়টি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করবে। বেআইনি ক্ষমতা দখল বন্ধ করতে না পারলে নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড হবে না। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, যদি দেখি লেভেল প্লেইং ফিল্ড গঠিত হয়নি এবং যে কারণে হচ্ছে না সে কারণটি উল্লেখ করে তা দূর করতে বলা হবে।’ বলে মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শিক্ষা শিবিরে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকেন তা পরীক্ষা হবে। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে দেশের প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখবে হবে। সেখানে কে মাস্তানি করে তা বুঝা যাবে।

কারণ সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে গেলে সহজেই পরিবর্তন করা যায় না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসবেন এবং দেখবেন। প্রয়োজনে নির্বাচন এক দিনে নয়, একাধিক দিনে হবে। যত ধরনের মাস্তানি আছে সব বন্ধ করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন যদি সেটা করতে চায় তাহলে বুঝা যাবে জনগণের পক্ষে তারা কাজ করছে। আর যদি না চায় তাহলে বুঝতে হবে তারা একটি বিশেষ দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। এটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড নয়। কাজেই তারা এখন অগ্নিপরীক্ষায় আছে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র। সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে থাকবে। কোনো বিশেষ দলকে পুনর্বাসিত করা বা কোনো পক্ষের সমর্থন করার সুযোগ বাংলাদেশে কোনো কর্তৃপক্ষের নেই এবং কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থার নেই। জনগণের মধ্যে সবাই আছে। জনগণের মধ্য থেকে যারা কাজ করতে চান, সেটা করার জন্যই সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে। এটাই সেনাবাহীনীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। সেনাবাহিনী সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবে, এটাই সবাই চায়।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, জেলা নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এসএম/টিকে     

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট Jun 21, 2025
img
নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা, ১০ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস Jun 21, 2025
img
আ.লীগের একটি পরিবারে ৩৬ জন এমপি ছিলেন : মিজানুর রহমান সিনহা Jun 21, 2025
img
রাজধানীতে বৃষ্টি নামলেও মিলবে না স্বস্তি, বাড়তে পারে তাপমাত্রা Jun 21, 2025
img
ইরানি মিসাইলের আঘাতে তেলআবিবে অগ্নিকাণ্ড Jun 21, 2025
img
ভুলবশত ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Jun 21, 2025
img
'আমরা কখনও একসঙ্গে খেলিনি, তাই ব্যক্তিগত সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি', রোনালদোকে নিয়ে মেসির বার্তা Jun 21, 2025
img
'ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামোয় ইরান হামলা করছে না' Jun 21, 2025
img
অভিনেতা অভিষেক নতুন রূপে ‘কালিধর লাপাতা’-তে, আসছে ৪ জুলাই Jun 21, 2025
img
ইসরায়েলে নতুন করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান Jun 21, 2025
img
আমি শান্তি স্থাপনকারী, তবে শান্তি স্থাপনে আপনার মাঝে মাঝে কঠোর হতে হবে: ট্রাম্প Jun 21, 2025
img
সৌরভ বায়োপিকের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, ডোনার ভূমিকায় থাকছেন কে? Jun 21, 2025
img
ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করার সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই : ট্রাম্প Jun 21, 2025
img
কপিলের শোয়ে সালমান খানকে অনুকরণ করলেন অভিনেতা সুনীল গ্রোভার Jun 21, 2025
img
অভিষেকের সঙ্গে বাগদান হয়েও ভেঙে যায় বিয়ে, ট্রমায় চলে যান অভিনেত্রী কারিশমা Jun 21, 2025
img
খ্যাতিমান আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদ আর নেই Jun 21, 2025
img
ইরানে আবারও ব্যাপক হামলা চালানোর দাবি ইসরায়েলের Jun 21, 2025
img
ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে নিজ দেশের গোয়েন্দাদের তথ্যকে ‘ভুল’ বললেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প Jun 21, 2025
img
ইসরাইলের ৫০ টি যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে: ইরাক Jun 21, 2025
img
ইসরায়েল জিতছে, তাদের হামলা বন্ধ করতে বলা কঠিন হবে: ট্রাম্প Jun 21, 2025