‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ স্বীকৃতিসহ চার দফা দাবিতে সড়কে প্রবাসীরা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে দেশে ফেরত প্রবাসীদের ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ স্বীকৃতিসহ চার দফা দাবি নিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত আরব আমিরাত ও অন্যান্য দেশ থেকে ফেরত প্রবাসীরা।


আজ রোববার (২২ জুন) ‘জুলাইয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, জেলফেরত প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’ ব্যানারে পরীবাগ মোড়ে বেলা ১১টার দিকে সমবেত হন শতাধিক প্রবাসী।

বিদেশফেরত দাবি করা এসব প্রবাসী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। তারা মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রাজসিক মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শাহবাগ-বাংলামোটর সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রধান উপদেষ্টা বা সরকারের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

তারা জানান, আমিরাতসহ অন্যান্য দেশের ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আমিরাতের কারাগার থেকে ১৮৯ জন দেড় থেকে চার মাসের মধ্যে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু একই মামলায় এখনো ২৫ জন প্রবাসী দীর্ঘ নয় মাস ধরে আবুধাবির আল সদর জেলে বন্দী। এছাড়া আমিরাতের বিভিন্ন সিআইডি অফিসে শতাধিক প্রবাসী বন্দী আছেন।

প্রবাসীদের চার দফা দাবি

১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আবুধাবির আল সদর কারাগারে আটক ২৫ জনসহ আমিরাতের বিভিন্ন সিআইডি অফিসে আটক প্রবাসীদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. দেশে ফেরত আসা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসন করতে হবে।
৪. একই মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরান তো অন্যায় কিছু করেনি : আব্বাস আরাগচি Jun 22, 2025
মুম্বাইয়ে ৪৮ কোটি রুপির ফ্ল্যাট কিনলেন মাধুরী Jun 22, 2025
মাঠে লড়াই, বাইরে শ্রদ্ধা, রোনালদোকে নিয়ে মুখ খুললেন মেসি Jun 22, 2025
img
কাজ না পাওয়ার হতাশায় না ফেরার দেশে অভিনেতা তুষার Jun 22, 2025
img
রেফারিকে হেনস্তা করলে যেতে হবে জেলে Jun 22, 2025
চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও, পরীক্ষা পেছাতে চায় শিক্ষার্থীরা! Jun 22, 2025
img
জুন মাসের প্রথম ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স Jun 22, 2025
img
মেঘনা আলমের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার ছবি প্রকাশ করলেন নির্ঝর Jun 22, 2025
img
ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড Jun 22, 2025
img
'ইরানে হামলা করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন নেতানিয়াহু' Jun 22, 2025
img
আমি ‘মি টু’ আন্দোলনের বলি হয়েছিলাম: জনি ডেপ Jun 22, 2025
img
কারাগারে ১০৫ প্রভাবশালী আওয়ামী মন্ত্রী-এমপি Jun 22, 2025
img
এভাবে চলতে থাকলে আর কখনও ঐকমত্য হবে না : নুর Jun 22, 2025
img
আলোচিত দলবদলের পর আরও চমক আনছে লিভারপুল Jun 22, 2025
img
ইরানে মার্কিন হামলা, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন না পুতিন Jun 22, 2025
অসংখ্য চেষ্টা শেষে সালমানের জন্য গর্ভবতী নায়িকা Jun 22, 2025
img
‘সঙ্ক্রান্তি আল্লুল্লু’ ছবিতে নয়নতারার একক আধিপত্য Jun 22, 2025
img
টেস্টে ধোনির চেয়ে পান্ত ভালো: মাঞ্জরেকার Jun 22, 2025
img
জাতীয় পার্টির মধ্যে বিভক্তি তুঙ্গে! Jun 22, 2025
img
আগামী ভোটে ‘শাপলা’র জয়জয়কার হবে, সরকার গঠন করবে এনসিপি: পাটওয়ারী Jun 22, 2025