ফ্যাসিবাদের জায়গা বাংলাদেশে আর হবে না : এ্যানি

‘ফ্যাসিবাদের মৃত্যু হয়েছে, দাফন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের জায়গা বাংলাদেশে আর হবে না।’ বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়, হাজী মুসলিম বৃত্তি প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

এ্যানি বলেন, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা মাঠে সরব থাকব। ওই ফ্যাসিবাদকে কোনোভাবে বাংলাদেশের মাটিতে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে এই প্রজন্মের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, শিক্ষার্থীরা মায়ের সঙ্গে রাজপথে এসেছিল।

যারা স্কুলে পড়ত, এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, আজকে তারা এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। এরা মাঠে খুব সরব ছিল। মা-বাবার হাত ধরে মাঠে আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলন করতে গিয়ে লক্ষ্মীপুরসহ সারা দেশে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে তারা (আওয়ামী লীগ) হত্যা করেছে।

হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ খুন করেছে। নারীদের খুন করেছে, সাধারণ মানুষকে খুন করেছে। তখনো তারা চিন্তা করেছিল, এ ক্ষমতা চালিয়ে যেতে হবে। এতে আরো যদি লাশ নিতে হয়, আরো যদি রক্ত শোষণ করতে হয়, হাসিনা সেখানেও দ্বিধা করেনি, চিন্তা করেনি। ক্ষমতায় থাকার মনোবাসনা নিয়ে হাসিনা জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের-ছাত্রীদের-নারী-পুরুষ-শিশুসহ সবার ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সবার মধ্যে জাগরণ ও স্পিড ৫ আগস্টের আগেও ছিল, এখনো আছে। এটি ধরে রাখতে হলে দৃঢ় ঐক্য থাকতে হবে। সেই ঐক্য ইস্পাত-কঠিন ঐক্য হতে হবে। সেই ঐক্য হবে ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদ, স্বৈরাচার ও সর্বোপরি শেখ হাসিনাসহ তার গংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোনো ভাগাভাগি ও মতভেদ নেই। আমরা সেই ঐক্য সুদৃঢ় করব।

কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) ফয়জুল আজিমসহ কলেজ শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

এসএম/টিকে  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যে ছবিটি কেউ করতে চায়নি, সেটাই করল কারিশমাকে সুপারস্টার Jun 25, 2025
img
‘দাঁড়িপাল্লা’ স্লোগান ঘিরে বিএনপির ১৩ নেতা শোকজ Jun 25, 2025
img
পানি কনভেনশনে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ:পানি সম্পদ উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
ওএসডি হলেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন Jun 25, 2025
img
সামরিক সাফল্যের পরেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর Jun 25, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে মুখরক্ষা হয়নি নেতানিয়াহুর Jun 25, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে বেনফিকা Jun 25, 2025
img
সান্তোসেই থাকছেন নেইমার, চুক্তি নবায়ন ডিসেম্বর পর্যন্ত Jun 25, 2025
img
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ন্যায্যভাবে অধিকার ফিরে পেয়েছি: জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল Jun 25, 2025
img
সাবিনাদের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন না কোচ ও অধিনায়ক Jun 25, 2025
img
কাঠবাদাম যেভাবে খেলে শরীরে আসে দ্বিগুণ উপকার Jun 25, 2025
img
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে গর্বিত ট্রাম্প Jun 25, 2025
img
বিজ্ঞানীদের হত্যা করে কর্মসূচি থামানো যাবে না: বিশ্লেষক Jun 25, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে ইরান অনড়, পারমাণবিক কর্মসূচি থামছে না Jun 25, 2025
img
জেলেনস্কি না থাকলেও ইউক্রেন ইস্যু গুরুত্ব হারাচ্ছে না: ন্যাটো Jun 25, 2025
img
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে ‘যুগান্তকারী’ বলল বিএনপি Jun 25, 2025
img
বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় আগ্রহ চীনের Jun 25, 2025
img
সচিবালয়ে ক্যান্টিন দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ছয়জন আহত Jun 25, 2025
img
জাতিসংঘে সরব কাতার, দোহায় তলব ইরানি রাষ্ট্রদূত Jun 25, 2025
img
ইরানের পারমাণবিক কাঠামো অক্ষত, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের Jun 25, 2025