স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া টেকসই করতে হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর সৃষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনাসমূহকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে দেশে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল ময়মনসিংহ নগরীর শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডার্স কনসালটেশন অন ইনক্লুসিভ, স্মুথ এন্ড সাসটেইনেবল এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি’র সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্ট আয়োজিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের বেসরকারি খাতের একটি শক্তিশালী সক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। যা আসন্ন সময়ে উত্তরণজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেও আমাদের সহায়ক হবে।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল বাসার সিদ্দিকী, এএইচ এম জাহাঙ্গীর ও ড. মোস্তফা আবিদ খান। প্যানেল আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নেসার আহমেদ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মালেকা বিলকিস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজা মোহাম্মদ গোলাম মাসুম প্রধান, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও ব্যবসায়ি নেতা এ কে এম মাহবুবুল আলম।
কর্মশালায় অংশ নেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, জামায়াতের জেলা আমীর আবদুল করিম, মহানগর আমীর কামরুল এহসান এমরুল, সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ কায়সার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওয়ালিউল্লাহ অলি, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. আক্তারুজ্জামানসহ শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় বক্তারা ঢাকা ও ময়মনসিংহের মধ্যে দ্রুতগতির রেলসংযোগ স্থাপন, মানব সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোর দেন। কৃষি ক্ষেত্রে ময়মনসিংহের অপরিসীম সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে বক্তারা কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, সকল পর্যায়ের কৃষকদের নিকট কৃষিপণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ পদ্ধতি পৌঁছে দেওয়া, কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন এবং কৃষিপণ্যের যথাযথ বাজারজাতকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এই সম্ভাবনার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ, ব্র্যান্ডিং এবং বাজার সংযোগ।
কেএন/এসএন