জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রতিভা অন্বেষণ করে। সেই প্রতিভার আর খোঁজ থাকে না। আজ চলতি বছরের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সমাপনী দিনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া মেধাবী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণে রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে এবার দশ খেলায় প্রতিভা অন্বেষণ হয়েছে। দশ খেলার সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে তালিকা সরবারহ করবে এনএসসি। সেটা তদারকি করার কথা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, 'দশটি ক্রীড়া ক্ষেত্রে যারা প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বাছাই হয়েছেন তাদেরকে স্ব স্ব ফেডারেশনের সাথে সমন্বয় করে আরো বেশি প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আগামীদিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রতি ছয় মাস পর পর ফেডারেশনের মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে । প্রশিক্ষণের প্রগ্রেসের উপর ভিত্তি করে তাদের ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার পাথ নির্ধারণ করা হবে।'
তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ এ ১০টি ইভেন্টে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫০০ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যার মধ্যে ৮৯ জন বালক ও ৭৩ জন বালিকা।
খেলোয়াড় সরবারহ ও মেধাবী ক্রীড়াবিদ খুঁজতে অন্বেষণের বিকল্প দেখছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা। অন্বেষণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যাকেও গুরুত্ব দিয়েছেন, 'প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ গড়ে তোলা হবে। প্রতিভা অন্বেষণই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমারা ভবিষ্যৎ ক্রীড়াবিদদের খুঁজে পাব; যারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।'
উপদেষ্টা আরো বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথাযথ অবকাঠাম গড়ে তোলার পাশাপাশি এমন একটি ক্রীড়াবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করা হচ্ছে যেখানে একজন খেলোয়াড় তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুযোগ পাবেন।'
আরএম