যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটেছে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় মাধ্যমে। এরপরই বুধবার (২৫ জুন) বিশ্বের অধিকাংশ শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এর ফলে মার্কিন সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশায় ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। তবে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। যদিও তা এখনো সোমবারের সর্বোচ্চ দামের তুলনায় রয়েছে অনেক নিচে।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার কয়েকদিন পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, এসব স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের পর, তারা মার্কিন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

এমন বাস্তবতায় শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। বুধবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে হংকং, সাংহাই, সিডনি ও সিঙ্গাপুর এশিয়াজুড়ে লাভের শীর্ষে থাকে। তবে, টোকিওন শেয়ারবাজার কমে যায়।

ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানিতে বলেন, ‘যদি দেখা যায়, মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে, তাহলে আমরা শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারব। আমার মনে হয় না যে, আমাদের তাড়াহুড়ো করার দরকার আছে, কারণ অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী।’

এর আগে, ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার ও মিশেল বোম্যানও আগামী মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দেন। এ সব কারণে ডলারের মান ইউরো, পাউন্ড ও ইয়েনের বিপরীতে পড়ে যায়।

এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনেস বলেন, বাজারে পুরোপুরি ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা ফিরে এসেছে। ফলে তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা আরও জোরালো হয়েছে, যার প্রভাবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার আকাশচুম্বী উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img

এম এ আউয়াল

জুলাই সনদে নিম্নমধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি Oct 24, 2025
img
শান্তি ও সহযোগিতার বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস Oct 24, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে নেই সৌম্য সরকার Oct 24, 2025
img
ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: টুকু Oct 24, 2025
img
এনসিপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে: সালাহউদ্দিন Oct 24, 2025
img
এল ক্লাসিকো শুরুর আগেই রিয়ালকে উসকে দিলেন ইয়ামাল Oct 24, 2025
img
আমরা গণভোট চাই না, জনগণের ভোট চাই: মুশফিকুর Oct 24, 2025
img
জামায়াতে ইসলামী রক্ত দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে : শামীম সাঈদী Oct 24, 2025
img
কবরস্থান তাদের একমাত্র থাকার জায়গা Oct 24, 2025
img
আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে: শ্রমিক দল নেতা Oct 24, 2025
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসে মিরাজ Oct 24, 2025
img
মোহাম্মদপুরের কথিত সন্ত্রাসী মিলন গ্রেপ্তার Oct 24, 2025
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কি বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতা? Oct 24, 2025
img
আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মতিউর রহমান আকন্দ Oct 24, 2025
img
দখল করা ব্যাংকের কর্মীদের পোলিং এজেন্ট করতে চায় একটি দল: হাসনাত Oct 24, 2025
img
স্পোর্টস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : আমীর খসরু Oct 24, 2025
img
‘আগে যারা হেলমেট পরে আঘাত করত, তারাই এখন টুপি পরে হামলা চালায়’ Oct 24, 2025
img
বিএনপি কখনো স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী ভূমিকা নেয়নি : এ্যানি Oct 24, 2025
img
সিটি কর্পোরেশন আইনের ধারা সংশোধনে প্রস্তাব করবে ডিএসসিসি Oct 24, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ Oct 24, 2025