যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় ‘খুব ভালো’ অগ্রগতি : উপপ্রেস সচিব

ট্রাম্প প্রশাসন আসার পর থেকেই শুল্ক আরোপের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছে ইউনূস সরকার। শেষে সরকারের আপত্তিতে তা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে জোর আলোচনা চালিয়ে যায় অন্তর্বর্তী সরকার।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।

আজ শনিবার (২৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতিবিষয়ক প্রধান ড. খলিলুর রহমানের বরাত দিয়ে উপপ্রেস সচিব বলেন, আমরা মার্কিন দলের সঙ্গে আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি করেছি। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। ঢালাওভাবে এই শুল্ক আরোপকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশসহ প্রায় ৬০টি দেশের ওপর নির্দিষ্ট হারে আরও বেশি ‘রেসিপ্রোকাল শুল্ক’ আরোপ করা হবে।

উল্লেখ্য, আগে বাংলাদেশি পণ্য গড়ে ১৫.৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করত। 


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অভ্যুত্থানের আগে আ. লীগের সঙ্গে জড়িতরা এনসিপিতে আসতে পারবে না : সারজিস Oct 24, 2025
img
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ক্যারিবীয়দের মূল স্কোয়াডে পরিবর্তন Oct 24, 2025
img
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ, হাসিনা, কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে মামলা Oct 24, 2025
img
রশিদ-জাম্পাকে পেছনে ফেলে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড Oct 24, 2025
img
এনসিপিতে আছি, সরকার গঠন পর্যন্ত দলের সাথেই থাকবো : পাটওয়ারী Oct 24, 2025
img
হোটেলে ইঁদুর দেখে অজি নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক Oct 24, 2025
img
২৯ বছরের নারীর অভিযোগে সংগীত পরিচালক গ্রেপ্তার Oct 24, 2025
img
ঋতুপর্ণাদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল থাইল্যান্ড Oct 24, 2025
img
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার ক্রিস্টেনসেনের Oct 24, 2025
বাংলাদেশ দলে সিদ্ধান্ত নেয় কে? স্পষ্ট করলেন মিরাজ Oct 24, 2025
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের নতুন সিরিজ, বিতর্ক ও গোপন সত্যের ছায়া! Oct 24, 2025
রাকসুতে নির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে যা বলেন তাহসিন খান Oct 24, 2025
img
এনসিএলে ৮ দলের প্লেয়ার লিস্ট প্রকাশ Oct 24, 2025
img
রাশিয়া কখনোই মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না : ট্রাম্প Oct 24, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সব সমস্যার সমাধান করা হবে : মির্জা ফখরুল Oct 24, 2025
img
আঞ্চলিক দেশগুলোর ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল ইরান Oct 24, 2025
img

ফেসবুক পোস্টে ফাওজুল কবির

আমি পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা করতে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই Oct 24, 2025
img
নতুন বাংলাদেশে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা ভাবতে হবে : শারমীন Oct 24, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নতুন দলগুলো নিয়ে জোট হতে পারে : মঞ্জু Oct 24, 2025
img
গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন গোবিন্দ: কন্যা টিনা শোনালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা Oct 24, 2025