"মহিলামহল শুরু হচ্ছে... উপস্থাপনা বেলা দে"—এই একটি বাক্যই যেন অনেকের শৈশব-কৈশোরের সকাল হয়ে গিয়েছিল। এক রেডিয়োর ভেতর থেকে ভেসে আসা সেই গলার টান আজও সময়কে থমকে দেয়। সেই সময়ের প্রখ্যাত রেডিয়ো ব্যক্তিত্ব বেলা দে-কে এবার পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘বেলা’। এই বায়োপিক ঘিরেই এখন সিনেপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে।
রেডিওর পর্দার ওপারে যাঁর কণ্ঠে ঘুম ভাঙত, রান্না শেখা হত, কিংবা নারীর স্বাধীনতা নিয়ে সাহস পাওয়া যেত—সেই বেলা দে-র চরিত্রে এবার দেখা যাবে বাংলার গুণী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এই ছবিতে তিনি শুধু একজন সঞ্চালিকার চরিত্রে নন, এক যুগের নারীজাগরণের কণ্ঠ হিসেবেই আবির্ভূত হচ্ছেন।
চলচ্চিত্রটির প্রথম মোশন পোস্টার ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে, একটি ঘরের কোণে রাখা পুরনো রেডিও, বইয়ের স্তূপ আর রান্নার কড়াই। একটানা এই চিত্র যেন এক সময়ের নিঃশব্দ প্রামাণ্য দলিল, যেন খুলে দেওয়া হয়েছে একটি বিস্মৃত জানালা।
পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বেলা’ কেবল একজন নারীর জীবনের গল্প নয়, এটি এক সময়ের সমাজ-সংস্কৃতির কথা বলে। নারীর অধিকার, আত্মবিশ্বাস, নিজস্বতা আর সংগ্রামের গল্প বলবে এই ছবি। তাঁর কথায়, “বেলা মেয়েদের কথা বলবে, খুব মন দিয়ে আর সততার সঙ্গে সিনেমাটা বানিয়েছি।”
ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছে গ্রেমাইন্ড কমিউনিকেশনস। মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ২০২৫ সালের অগাস্টে। সিনেমাটি যখন পর্দায় আসবে, তখন শুধু একটি জীবনের গল্প নয়, এক সময়, এক অনুভব, এক সংগ্রামের প্রতিবিম্ব ছুঁয়ে যাবে দর্শকদের হৃদয়।
এই রকম নারীকেন্দ্রিক, কণ্ঠের শক্তিতে ভর করে সামনে এগিয়ে চলার গল্প চলচ্চিত্রে বিরল। তাই ‘বেলা’ কেবল একটি ছবি নয়, এক সংগ্রামী সত্তার জয়গানও বটে।
টিকে