‘লাকি ভাস্কর’-এর পর দুলকার সালমান যেন আরও এক ধাপ ওপরে। কেবল অভিনয় নয়, কৌতূহল ছড়াচ্ছেন তিনি তার আসন্ন তিনটি সিনেমা ঘিরে — তিনটি ভিন্ন ভাষায়, তিনটি ভিন্ন ঘরানায়, এবং তিনটি একেবারে আলাদা দুলকার।
প্যান-ইন্ডিয়া জনপ্রিয়তা এখন আর নতুন কিছু নয় এই তারকার জন্য। কিন্তু তিনি থেমে নেই। বরং আগামীর সিনেমা মানচিত্রে নিজের উপস্থিতিকে আরও গভীর আর বিস্তৃত করতে যাচ্ছেন দুলকার। কখনও মাদ্রাজের সুপারস্টার, কখনও গ্রামের তরুণ স্বপ্নদ্রষ্টা, আবার কখনও রাফ-এজ অ্যাকশন হিরো — দুলকার যেন এক বহুরূপী গল্পকার হয়ে উঠছেন।
প্রথম ছবি ‘কান্তা’, আসছে তামিলে, সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ। এখানে দুলকার হবেন ১৯৫০-এর দশকের মাদ্রাজের এক সুপারস্টার। একদিকে খ্যাতি, অন্যদিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক দ্বন্দ্বের চাপে তার তারকাখ্যাতি কীভাবে পাল্টে যায় — সেই গল্পই বলবে কান্তা। এই সিনেমায় সহ-প্রযোজক হিসেবেও থাকছেন দুলকার নিজেই, পাশে রয়েছেন রানা ডগ্গুবাতি।
এরপর আসছে ‘আকাশাম লো ওকা তারা’ — তেলুগু ভাষায়। এখানে তিনি একেবারে মাটির কাছাকাছি, গ্রাম্য পটভূমির এক সাধারণ যুবক। সীতারামাম-এর পর তেলুগু দর্শকের হৃদয়ে যে জায়গা তৈরি হয়েছে, সেটিকেই এবার আরও শক্ত করতেই এই ছবি। ডিসেম্বর ২০২৫-এ মুক্তি পাবে এই আবেগঘন গল্পটি।
এরপর ২০২৬-এর মার্চে আসছে মালায়ালাম ভাষার ছবি ‘আই অ্যাম গেম’। পরিচালক ‘আরডিএক্স’-এর নাহাস হিদায়াথ, সঙ্গে অ্যান্টনি ভার্গিজ। অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানায় এই ছবি হতে পারে দুলকারের মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে জোরদার প্রত্যাবর্তন। কিং অব কোঠা’র ব্যর্থতা যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল, সেটির জবাব দিতে চাইছেন তিনি এই চরিত্রের মাধ্যমে।
তবে দুলকার শুধু অভিনয়েই থেমে নেই। নতুন প্রজন্মের জন্য তিনি তৈরি করেছেন প্রোডাকশন হাউজ। সেখানে আসছে ছবি ‘লোকাহ: চ্যাপ্টার ওয়ান – চন্দ্র’, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন কল্যাণী প্রিয়দর্শন ও নাসলিন। এই ছবি হতে চলেছে নতুন প্রতিভা তুলে ধরার এক সাহসী প্রয়াস।
সব মিলিয়ে আগামী দুই বছর জুড়ে চলবে এক ব্যতিক্রমী অভিনয় অভিযাত্রা — যেখানে দুলকার কখনও ইতিহাস, কখনও বাস্তবতা, কখনও নতুন যুগের রোমাঞ্চে নিজেকে ভেঙে গড়ছেন। তার স্টারডম আজ প্রমাণিত, কিন্তু সেই খ্যাতিকে তিনি ব্যবহার করছেন এক উত্তরাধিকার নির্মাণে।
এসএন