ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য ও ককেশাস। আধুনিক রণাঙ্গনে সর্বত্রই নতুন বাস্তবতা তৈরি করছে ড্রোন। আগের মতো যুদ্ধবিমান নয়, এখন আকাশ দখলের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে স্বয়ংক্রিয়, সস্তা ও ঝুঁকিমুক্ত ড্রোন। নজরদারি থেকে হামলা, সবই সম্ভব হচ্ছে ছোট কিন্তু কার্যকর এসব যন্ত্র দিয়ে। ফলে সামরিক কৌশলে বড় পরিবর্তন আসছে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তা হিসাবেও নতুন উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইউক্রেন, আজারবাইজান ও তেল আবিব ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক, রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংস করেছে। তেহরান-তেল আবিব বিরোধে ড্রোন হামলা ও প্রতিরোধই মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন রিপার বা ইসরায়েলি হেরনের মতো ড্রোন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে। কম খরচে বেশি ধ্বংসক্ষমতার কারণে ছোট দেশ কিংবা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছেও এটি হয়ে উঠছে ‘সুলভ এয়ারফোর্স’।
বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী দিনে স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে এমন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে, যা শত শত ড্রোনকে একসঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে। এতে মানুষের ভূমিকা কমে এলেও সিদ্ধান্তের ক্ষমতা এখনো কৌশলগতভাবে মানুষের হাতেই থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড্রোন যুদ্ধের বিস্তার যেমন প্রাণহানি কমাতে পারে, তেমনি ভুল সিদ্ধান্ত বা উত্তেজনায় পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ফলে শুরু হয়েছে নতুন প্রতিযোগিতা- ড্রোন, এআই, জ্যামার, লেজার ও স্টেলথ প্রযুক্তির মধ্যকার এক ভারসাম্যের লড়াই, যা বিশ্ব নিরাপত্তা কাঠামোকে মৌলিকভাবে রূপান্তরিত করছে।
আরআর/এসএন