ক্রিকেট মাঠে তাঁর ট্রেডমার্ক ছিল চওড়া হাসি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে হাজারো ঝড়ঝাপটা পেরতে হয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ, প্রিয় সন্তানের থেকে দূরে থাকা-সমস্ত যন্ত্রণার মধ্যেও গোঁফের আড়াল থেকে উঁকি মারা হাসি ফিকে হয়নি। কোন মন্ত্রে সবকিছু জয় করেও হাসি মুখে এগিয়ে যান? লুকিয়ে থাকা সেই গল্পই এবার সকলের কাছে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি, শিখর ধাওয়ান।
মঙ্গলবার ( ১ জুলাই) গব্বর জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য ওয়ান।’ ইনস্টাগ্রামে একটি রিল পোস্ট করেছেন শিখর। ক্রিকেট কেরিয়ারের নানা মুহূর্ত, নানা সাফল্যের ঝলক মিলেছে সেই রিলে। সঙ্গে শিখরের ঘোষণা, “জীবনের সব জয়গুলো হাইলাইটে ধরা পড়ে না। প্রত্যেকটা হারের হিসেব রাখে না স্কোরবোর্ড। সেই না বলা গল্প এবার তুলে ধরবে ‘দ্য ওয়ান’। জীবনের প্রত্যেকটা শিক্ষা, ভুলতে শেখা, প্রত্যেক মুহূর্তে সব ভুলে এগিয়ে যাওয়া-সবকিছুই থাকবে এই বইয়ে।”
নিজের জীবনের কিছু গল্পও এই রিলে তুলে ধরেছেন ধাওয়ান। দিল্লির ছোট্ট ছেলে কীভাবে জাতীয় দলের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠলেন, কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা তাঁকে জর্জরিত করে তুলেছিল-সেই নিয়ে আত্মজীবনীতে খোলাখুলিভাবে কথা বলবেন ভারতীয় ক্রিকেটার। উল্লেখ্য, গত বছর ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। ২০১৩ সালে অভিষেক করা ধাওয়ান দেশের হয়ে ১৬৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ৬৮টি টি-২০ খেলেছেন। ওয়ানডেতে প্রায় ৪৪ গড়ে ৬৭৯৩ রান করেছেন ধাওয়ান। একদিনের ক্রিকেটে ১৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৯টি অর্ধশত রানের মালিক তিনি। টেস্টে ৪০.৬১ গড়ে গব্বরের সংগ্রহ ২৩১৫ রান। টি-২০ ক্রিকেটে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান।

তবে ব্যক্তিগত জীবনে ধাক্কা খেতে হয়েছে গব্বরকে। অস্ট্রেলিয়া নিবাসী বঙ্গকন্যা আয়েশার সঙ্গে ২০১২ সালে বিয়ে করেন শিখর। তাঁদের একটি পুত্রও আছে। তাছাড়াও বিয়ের পর আয়েশার দুই কন্যাকে দত্তক নেন শিখর। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। অবশেষে ২০২৪ সালে শিখর-আয়েশার বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বারবার অভিযোগ উঠেছে, নিজের ছেলের কাছে যাওয়ার অনুমতিও পান না শিখর। সেই যন্ত্রণা সহ্য করে কীভাবে সদাহাস্যময় থাকেন গব্বর? উত্তর মিলবে নতুন আত্মজীবনীতে।
পিএ/টিএ