নিজের কৃষকদের ক্ষতি হতে পারে, এমন কোনও চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি। বিষয়টি সামনে আসতে না আসতেই বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি দিয়েছেন বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকি।
ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে জাপানের ওপর ৩০ বা ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। ট্রাম্পের তথাকথিত লিবারেশন ডে-এর অংশ হিসেবে জাপানের ওপর যে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, তার চেয়ে এটি অনেক বেশি হবে।
পরবর্তীতে বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলেন ট্রাম্পা। যেন ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় পায় তারা। এই সময়সীমা আগামী ৯ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। ট্রাম্প বলেছেন যে সময়সীমা আর বাড়ানোর কথা ভাবছেন না তিনি। একইসঙ্গে বাকি কয়েকদিনের মধ্যে টোকিওর সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে চলেছেন ট্রাম্প।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা জাপানের সঙ্গে লেনদেন করেছি। আমি নিশ্চিত নই যে আমরা কোনো চুক্তি করতে যাচ্ছি কি না। আমার সন্দেহ আছে। এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জাপান। জাপানের ডেপুটি চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাজুহিকো আওকি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী বলেছেন, তা আমরা জানি। কিন্তু মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিটি মন্তব্যের ওপর আমরা মন্তব্য করি না।
অন্যান্য অনেক দেশের মতো জাপানের বেশিরভাগ রপ্তানি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন। জাপানি যানবাহন এবং যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি করও রয়েছে। অন্যদিকে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপ করা হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক।
আরআর/টিএ