ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে নতুন করে আরও সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেনীয় এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর ফলে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইরত উত্তর কোরীয় সেনার সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হতে পারে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
সিএনএন’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উত্তর কোরীয় সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম যোগানোর পাশাপাশি তাদের রুশ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফ্রন্টলাইনের ইউক্রেন অধিকৃত এলাকাগুলোতে বড় ধরনের আক্রমণে তাদের যুক্ত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে তার উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু গত ১৭ জুন পিয়ংইয়ং সফর করেন। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়া ১ হাজার মাইন নিষ্কাশনকারী ও ৫ হাজার সামরিক নির্মাণ শ্রমিক রাশিয়ায় পাঠাবে। যারা কুরস্ক অঞ্চলের ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে।
উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে সেনা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে, জুলাই বা আগস্টের মধ্য তাদের পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই রাশিয়াকে সহায়তা করে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২৪ সালেই পিয়ংইয়ং মস্কোকে অন্তত ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০ লাখ গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে বলে জাতিসংঘের ১১টি দেশের একটি যৌথ প্রতিবেদন জানিয়েছিল।
এর আগে ২০২৪ সালে রাশিয়ায় প্রায় ১১ হাজার সেনা পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া, যারা ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সীমান্তে হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছিল। ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, এদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার সেনা হতাহত হন। তবুও পুতিন-কিম সম্পর্ক এরপর থেকেই আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
এমআর