তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায়: তিন আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ৪

দশ বছর আগে ২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারী সোহেল।

আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত এ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। এ ঘটনায় একইদিন তার সহযোগী আইসিসিও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলার ২০১৬ সালের ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৫ অক্টোবর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাবেলা সিজারকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাবেলা সিজারকে হত্যা করেন। তাকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।

সেখানে আরও বলা হয়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা। একইসঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ছিল আসামিদের।
এ মামলায় বিচার চলাকালে মোট ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এফপি/ টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

বিএনপি দেশের বাজারে যেখানে বিনিয়োগ করতে চায় Nov 11, 2025
এফবিআই প্রধানের গোপনে আকস্মিক চীন সফর! Nov 11, 2025
জামায়াত ছোট দল ছিল, হুট করে বড় হয়ে গেছে গ্যাপ মার্কেটে : পাটওয়ারী Nov 11, 2025
বাবাকে ঘিরে গুজবের জবাবে মুখ খুললেন বিএনপি মহাসচিব Nov 11, 2025
img
ধামরাইয়ের আমতলা বাজারে আগুন Nov 11, 2025
৫ দফা কর্মসূচি যে কারণে দিলো জামায়াত! Nov 11, 2025
সরকার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে- পরিবেশ উপদেষ্টা Nov 11, 2025
সোলজার নিয়ে আলোচনা মধ্যেই শাকিব খানের ‘প্রিন্স’ সিনেমাকে অমিতাভের শুভকামনা Nov 11, 2025
img
মধ্যরাতে রাজধানীর আরেক স্থানে বাসে আগুন Nov 11, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা ৫ ঘণ্টা কাজ করে পারিশ্রমিক পাবেন ৮ ঘণ্টার : জামায়াত আমির Nov 11, 2025
img
জারাকে নিয়ে মধ্যরাতে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে চমক Nov 11, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুঞ্জন, মুখ খুললেন সানি দেওল Nov 11, 2025
img
শিল্প যে বোঝে, সে ধ্বংসবিরোধী মানুষ : মোশাররফ করিম Nov 11, 2025
img
গ্রেপ্তারের ৩ দিন পর প্রাণ গেল স্ত্রী-সন্তানের, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাজায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা Nov 11, 2025
img
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন করতে পারবেন যা Nov 11, 2025
img
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত Nov 11, 2025
img
হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৩ Nov 11, 2025
img
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 11, 2025
img
ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ Nov 11, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 11, 2025