বলিউডে ‘বেবি জন’ ছবি দিয়ে শুরুটা যেমন প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি, তেমনই সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশকে। কিন্তু একজন সত্যিকারের শিল্পীর লড়াই সেখানেই শেষ হয় না। কীর্তি এবার এমন এক বিস্তৃত এবং পরিকল্পিত প্রত্যাবর্তনের রূপরেখা তৈরি করেছেন, যা তাকে আবারও প্যান-ইন্ডিয়া তারকার আসনে ফিরিয়ে আনতে পারে।
এই প্রত্যাবর্তনের যাত্রা শুরু হবে তামিল ভাষার ছবি ‘উप्पু কপ্পুরাম্বু’ দিয়ে। এটি একটি সাসপেন্সে ভরা ডার্ক থ্রিলার, যা সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে ২০২৫ সালের ৪ জুলাই। বেবি জনের ব্যর্থতার পর এই ছবিই হবে তার প্রথম বড় স্ক্রিন-প্রকাশ। তাই কীর্তির জন্য এটি শুধু আরেকটি রিলিজ নয়, বরং তার সাহসিক পরীক্ষা।
এরপর আসছে ‘রিভলভার রীতা’, এক নারীকেন্দ্রিক অ্যাকশন থ্রিলার। ২০২৫ সালের আগস্টে মুক্তি পেতে চলা এই তামিল ছবি কীর্তির ঘরানাভিত্তিক শক্তিকে আবার তুলে ধরবে। তামিল দর্শকদের কাছে ফিরে আসার জন্য এটি তার বড় অস্ত্র।
বলিউডের দিকেও রয়েছে বড় পরিকল্পনা। ‘আক্কা’ নামের এক হিন্দি ওয়েব সিরিজে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে তাকে বলিউডের ডিজিটাল জগতে। আবেগঘন ও চরিত্রনির্ভর এই কাহিনির মধ্য দিয়ে নতুন এক রূপে ধরা দেবেন কীর্তি। পাশাপাশি রয়েছে আরেকটি নামহীন হিন্দি ছবি, যেখানে তার সহ-অভিনেতা হিসেবে থাকতে পারেন রাজকুমার রাও। বেবি জনের পর এটিকে বলা হচ্ছে তার ‘রিডেম্পশন ফিল্ম’, অর্থাৎ হিন্দি ছবির দর্শকের কাছে তার হারানো আসন পুনর্দখলের বড় সুযোগ।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতেও তিনি হাত গুটিয়ে বসে নেই। ‘ভিডি ১৫’ নামে একটি হাই-বাজেট অ্যাকশন-রোমান্স ছবি তাকে তেলুগু বাজারে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। ভাষাগত দক্ষতাই এখানে তার বড় শক্তি — তামিল, তেলুগু, হিন্দি সবক্ষেত্রে একসঙ্গে আঘাত হানতে চাইছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও কীর্তির এই ফিরে আসার লাইনআপ ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। নেটিজেনরা বলছেন, এর মধ্যে যদি মাত্র দুই–তিনটি কাজও সঠিকভাবে সাড়া ফেলে, তাহলে কীর্তি ফের ফিরে পাবেন তার সিংহাসন।
কীর্তি সুরেশ হাল ছাড়ছেন না। তার এই প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা শুধু বড় নয়, বরং সাহসী ও সুপরিকল্পিত। ২০২৫ সাল হতে পারে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওটিটি হোক বা বড় পর্দা, বলিউড-কলিউড-টলিউড সবখানেই নিজের শক্তির প্রমাণ দিতে প্রস্তুত তিনি।
আরআর/টিএ