বলিউডে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক রূপে দেখা গেছে সালমান খানকে—নায়ক, প্রেমিক, পুলিশ অফিসার, দুষ্টু-মিষ্টি দাদাভাই। কিন্তু এবার তিনি যে রূপে হাজির হচ্ছেন, তা যেন তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে তীব্র ও দায়িত্বশীল রূপ। ইউনিফর্ম গায়ে, রক্তাক্ত মুখে, গোঁফসহ কঠিন এক চাহনিতে 'Battle of Galwan'-এর মোশন পোস্টারে সালমান খানকে দেখে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটাই শব্দ—বীরত্ব।
পরিচালক অপূর্ব লাখিয়ার নতুন ছবি ‘Battle of Galwan’-এর কেন্দ্রে ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সেই নির্মম সংঘর্ষ, যেখানে ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ত্র ছাড়া, হাতাহাতি, পাথর আর লাঠি দিয়ে। দীর্ঘ ৪৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার দুই দেশের সীমান্তে প্রাণঘাতী এই সংঘর্ষ ঘটে, যা গোটা উপমহাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই বাস্তব যুদ্ধকে রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে এবার সামনে এলেন সালমান খান। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে তাঁকে সেনা পোশাকে, রক্তাক্ত ও ক্লান্ত, কিন্তু দৃঢ় এক চাহনিতে। এই চরিত্র যেন শুধু অভিনয় নয়, বরং এক জাতীয় দায়িত্ব। বলিউডে বাণিজ্যিক ছবির সুপারস্টার এবার রূপ নিচ্ছেন এক সাহসী সেনা অফিসারে, যাঁর চোখে আছে দেশমাতৃকার প্রতি নিবেদনের দীপ্তি।
ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে জুলাই থেকেই। প্রথম শিডিউল লাদাখের প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে বাস্তব আবহে ধরা হবে অ্যাকশন দৃশ্য। এরপর মুম্বাইয়ে স্টুডিওতে রিক্রিয়েট করা হবে যুদ্ধের কিছু অংশ ও আবেগঘন মুহূর্ত। নির্মাতাদের মতে, লাদাখে সালমানের দৃশ্যগুলোতে থাকবে কঠিন শারীরিক পরিশ্রম ও বাস্তব যুদ্ধের রুক্ষতা।
এই ছবিটি যেন কেবল আরেকটি যুদ্ধের ছবি নয়। বরং এটা বলিউডের তরফ থেকে গালওয়ান যুদ্ধে শহিদ সেনাদের উদ্দেশ্যে এক শ্রদ্ধাঞ্জলি। সালমান খানের জন্যও এটি হতে চলেছে কেরিয়ারের অন্যতম গম্ভীর ও চ্যালেঞ্জিং কাজ।
যেখানে যুদ্ধ মানেই গোলাবারুদ নয়, বরং আত্মবলিদান আর মানসিক দৃঢ়তা, সেখানে ‘Battle of Galwan’ হয়ে উঠতে চলেছে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়।
এসএন