দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় মুখ সাই পল্লবী শুধু অভিনয়ের জন্যই নয়, তার স্পষ্ট আর অনড় অবস্থানের জন্যও বারবার আলোচনায় আসেন। এই অভিনেত্রী একাধারে যেমন দর্শকপ্রিয়, তেমনি ইন্ডাস্ট্রির সেই চকচকে গ্ল্যামার আসক্তির বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন।
পুরনো এক সাক্ষাৎকার আজও বারবার শোনা যায়, যেখানে সাই পল্লবী অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তিনি কোন ধরনের দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে চান না। Behindwoods TV-র সেই আলাপে তিনি বলেছিলেন— “আমি এমন দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে চাই না যারা আমাকে শুধুই মাংসপিণ্ডের মতো দেখে। আমি চাই না তাদের সেই চোখ আমার ওপর থাকুক।” এই একটি বক্তব্যেই যেন বিনোদন দুনিয়ায় নারীর অবজেক্টিফিকেশন নিয়ে প্রচলিত ধারার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। আরেকটি সাক্ষাৎকারে Galatta Plus-কে সাই পল্লবী বলেন— “একবার একটি স্লিট ড্রেস পরেছিলাম, এরপর সেই ভিডিও দেখে মানুষ যেভাবে মন্তব্য করছিল, তাতে আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করেছিলাম।” এই অভিজ্ঞতার পর থেকে তিনি নিজের পোশাকের বেছে নেওয়ায় রেখেছেন সরলতা। শাড়ি বা সাধারণ দেশি পোশাকেই দেখা যায় তাকে। গ্ল্যামার ইমেজের চাপ সত্ত্বেও তিনি নিজের বেছে নেওয়া পথে অটল থেকেছেন।
অভিনয়জীবনও তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের শর্তে। সিভাকার্থিকেয়নের সঙ্গে করা ‘আমারন’ যেমন বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে, তেমনি নাগা চৈতন্যর সঙ্গে করা ‘থান্ডেল’-ও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ছাড়া রণবীর কাপুরের বিপরীতে ‘রামায়ণ’ ছবিতে সীতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, বলিউড তারকা আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খানের সঙ্গেও তার নতুন একটি প্রজেক্ট রয়েছে।
সবশেষে সাই পল্লবীর গল্প যেন এক সহজ সত্যির শিক্ষা — তারকাখ্যাতি মানেই আপোষ নয়। নিজের শর্তে, নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে যে অভিনয় করা যায় — সেটাই তিনি বারবার দেখিয়ে দিচ্ছেন। সাই পল্লবী কেবল একজন অভিনেত্রী নন, তিনি এক স্পষ্ট কণ্ঠস্বর, যিনি প্রমাণ করেছেন — নিজের মতো থাকাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
এফপি/ টিএ