কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিতে লাখো মানুষ পানিবন্দী

ব্যাহত ভারি বর্ষণে কক্সবাজারের ৯টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এর মধ্যে টেকনাফে ৫০টি, উখিয়ায় ২০টি ও ঈদগাঁও উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। এছাড়াও কম বেশি প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

কক্সবাজার আবহাওয়ার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, সোমবার (৭ জুলাই)  সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টায় জেলায় ২২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ৩ দিন ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় টেকনাফ-উখিয়া ও ৯টি উপজেলাসহ পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে শহরের প্রধান সড়কগুলোতেও। তবে বড় ধরনের কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, তার ইউনিয়নের পূর্ব রঙিখালী এলাকায় টানা বর্ষণের কারণে প্রায় ৩০০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। মূলত খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আমার ইউনিয়নের অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি যত বাড়ছে ততই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা সাঈদ ইরফান বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের কুতুবদিয়া পাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাক পাড়া, নাজিরারটেকসহ আট গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত রয়েছে।পাশাপাশি সড়কের ওপর দিয়ে পানি চলাচল করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উখিয়ার বাসিন্দা রিদুয়ান বলেন, ভারি বৃষ্টিতে এখানকার নিম্ন অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পাহাড় ধসও হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে শুকনো খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ভারি বৃষ্টিতে জেলার নিম্ন অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। আমরা জরুরি সহায়তা দিচ্ছি। 


পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি Jul 08, 2025
img
ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি এখনো দায়িত্বে থাকতে পারেন না : নাহিদ Jul 08, 2025
img
অঘোষিত ফাইনাল আজ, শ্রীলঙ্কায় ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ Jul 08, 2025
img
চাঁদাবাজদের জন্য বিএনপিতে মনোনয়নের কোনো দরজা খোলা নেই : ইঞ্জিনিয়ার সেলিম Jul 08, 2025
img
আজও সহনীয় ঢাকার বাতাস Jul 08, 2025
img
সন্দ্বীপে গৃহহীনদের জন্য ৩৪০ ঘর হস্তান্তর করল নৌবাহিনী Jul 08, 2025
img
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়াতে থানা ঘেরাও Jul 08, 2025
img
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার Jul 08, 2025
img
সততা দেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করুন: হাসনাত Jul 08, 2025
img
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের Jul 08, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার Jul 08, 2025
img
শুল্ক হ্রাস বা বৃদ্ধি নির্ভর করবে বাংলাদেশের ওপর: ট্রাম্প Jul 08, 2025
img
'অঞ্চলভিত্তিক শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে' Jul 08, 2025
img
সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চলছে ‘ওয়ার ২’ বুকিংয়ের তোড়জোড় Jul 08, 2025
img
অরণ্যের গর্জনে ফিরছে ‘কান্তারা : চ্যাপ্টার ১’ Jul 08, 2025
img
ধানুশের 'স্যার’ সিনেমার সিক্যুয়েল হবে না জানালেন পরিচালক Jul 08, 2025
img
যৌতুকবিরোধী আইনে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা নারীর ন্যায়বিচারে বাঁধা: মহিলা পরিষদ Jul 08, 2025
img
দুপুরের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা Jul 08, 2025
img
দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প Jul 08, 2025
img
বৈশ্বিক সমুদ্র চলাচলে বাংলাদেশ আবারও বড় ভূমিকার আশায় Jul 08, 2025