উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বর্ষণে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বরগুনার জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। বেতাগী পৌরসভার বাজার এলাকায় জোয়ারের সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এতে ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দোকানপাট তুলনামূলকভাবে কম খোলায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
পৌরসভার বাজারের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতর পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। অনেকেই রান্না-বান্না বন্ধ রেখে পানিবন্দি অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। শহরের নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পানি জমে থাকায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছে।
বেতাগী পৌরসভার বাজার এলাকা, পুরাতন থানা এলাকা, হাসপাতাল এলাকা, বদনিখালীর নিম্নাঞ্চল, জলিশা বাজারের নিম্নাঞ্চল, বটতলা, ছোট মোকামিয়া, চরখালী, কুমড়াখালী, সরিষামুড়ির নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
পৌর শহরের বাজার এলাকায় জোয়ারের সময় বিষখালী নদীর পানি ঢুকে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
পৌর শহরের মাছ বাজার, সবজি বাজার জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায় এবং ভাটির সময় পানি বের হয় যায়। এবিষয় বেতাগী পৌরসভার বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্যবসায়িক সায়েদ মল্লিক বলেন, বর্ষাকালে জোয়ারের সময় বিষখালী নদীর পানিতে বাজারের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌর প্রশাসক মো. বশির গাজী বলেন, প্রবল বর্ষণে কোথাও কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএ/টিএ