ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হয়ে দুটি গোলই করেছেন হুয়াও পেদ্রো, যিনি কিনা ফ্লুমিনেন্সেরই সাবেক খেলোয়াড়। অর্থাৎ ঘরের ছেলের হাতেই কুপোকাত ফ্লুমিনেন্স।
ফুটবল বলতে যা কিছু বোঝায়, তার সবই ফ্লুমিনেন্স থেকে শিখেছিলেন পেদ্রো। ২০১১ সালে যখন বয়স মাত্র ১০ বছর, তখনই ফ্লুমিনেন্সের ইয়ুথ ক্লাবে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটানা ৮ বছর সেখানেই ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। এর মধ্যে সিনিয়র ক্লাবের হয়ে খেলেন ২৯ ম্যাচ।
মঙ্গলবার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চেলসির হয়ে দুই গোল করলেও বেশি উদযাপন করেননি পেদ্রো। কারণ, তার জোড়া গোলের মাধ্যমেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ফ্লুমিনেন্স।
২৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ছয় দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন। ম্যাচের ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে প্রথম গোল করেন এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরেকটি অসাধারণ ফিনিশে চেলসির জয় নিশ্চিত করেন।
নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে প্রতিটি গোলের পর দু’হাত তুলে দুঃখ প্রকাশ করেন পেদ্রো। যদিও চেলসির সতীর্থরা তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। দ্বিতীয় গোলের পর তিনি কেবল একবার হালকা হাসি দেন।
ম্যাচের পর পেদ্রো বলেন, ‘ফ্লুমিনেন্স আমাকে সব কিছু দিয়েছে। তারা আমাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আমি আজ এখানে, কারণ তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। আমি খুব কৃতজ্ঞ, কিন্তু এটাই ফুটবল। আমাকে পেশাদার হতে হবে। তাদের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার কাজ তো করতেই হবে।’
চেলসির হয়ে শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পামেইরাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে বদলি হিসেবে প্রথমবার মাঠে নামেন পেদ্রো। তখন তার অনুশীলনের অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র কয়েক সেশন। চারদিন পরই শুরুর একাদশে সুযোগ পান তিনি।
ম্যাচ শেষে টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজ আমি শুরু থেকেই খেলেছি, তাই নিজের খেলা দেখানোর বেশি সুযোগ ছিল এবং আমাকে গোল করতেই হতো। দল জিতেছে, দল ভালো খেলেছে — এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এমআর/এসএন