ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি রিশাদ হোসেন। পরের দুই ম্যাচে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও দলীয় কম্বিনেশনের কারণে একাদশে তার জায়গা হয়নি। তার জায়গায় খেলা তানভীর ইসলাম দ্বিতীয় ম্যাচে জিতিয়েছিলেন টাইগারদের। গতকাল তৃতীয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিশাদকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
তিনি বলেছেন, ‘(হাসি) একটা প্লেয়ার ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স করলে তো কখনোই চিন্তা করতে পারবেন না যে তাকে ড্রপ দেবেন বা না খেলানোর ব্যাপারে। হয়তো স্পিন ট্র্যাক থাকলে (ভিন্ন কিছু হতে পারত), ওরাও ২ পেসার ও ৩ স্পিনার খেলিয়েছে। উইকেট দেখে পেস বোলারই বেটার অপশন। ওদের বেশিরভাগ উইকেট পেসাররাই পেয়েছে। আমাদের পেসাররাও ভালো করেছে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’
শ্রীলঙ্কার কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয় বাংলাদেশি স্পিনার তানভীর ইসলামের। গত ম্যাচে তার প্রথম ফাইফারের বদৌলতে সফরকারীরা ১৬ রানের জয় পায়। স্বভাবতই তার তৃতীয় ওয়ানডে খেলাও সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়।
ফলে ইনজুরি কাটিয়ে উঠলেও একাদশে ফেরার অনিশ্চয়তা তৈরি হয় রিশাদের। তবে কালকের ম্যাচটিতে তানভীর বেশ খরুচে ছিলেন। ১০ ওভারে ৬১ রান খরচ করে পান ১ উইকেট।
ম্যাচ হারের জন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতা স্বীকার করে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই মাঠ একটু বড় ছিল। আমরা আরও কিছু জায়গায় ভালো করতে পারতাম। চার মারতে পারতাম। সিঙ্গেলস নিতে পারতাম। যেহেতু এখানে ইমোশন কন্ট্রোলের ব্যাপার। যে যেরকম ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে।
এখন আমি হয়তো ওপরে খেলতে পছন্দ করি। আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা কিন্তু রিস্ক নিয়ে খেলতে পছন্দ করে, বাউন্ডারি মারতে পছন্দ করে।
সেটাকে সাপোর্ট না করে যদি আটকে দিই, তাহলে কঠিন হবে। আমরা প্রত্যেক প্লেয়ারকে তাদের শক্তির জায়গাতে ব্যাক (সমর্থন দেওয়া) করতে চেষ্টা করছি। হয়তো অনেক সময় সফল হব, অনেক সময় ব্যর্থ হব। তবে যার যা শক্তি চেষ্টা করি সেখানে ব্যাক করার জন্য।’
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস শেষেই ম্যাচে হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজের উত্তর– ‘তেমন না। যখন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী অনিক ব্যাট করছিল তখনও বিশ্বাস ছিল এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। উইকেটও ভালো ছিল। আমরা জুটি গড়তে পারিনি। ওরা পেরেছে। শ্রীলঙ্কার ১২০ রানে (আসলে ১০০ রানে) ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, এরপর বড় একটা জুটি গড়ে।
বিগত ৩ ম্যাচে আমরা এটা করতে পারিনি। ৩০-৪০ রানের জুটি গড়েছি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে জিততে গেলে ৩০-৪০ রানের জুটি দিয়ে জেতাটা কঠিন হয়ে যায়।’
এমআর/এসএন