ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। চেলসির হয়ে জোড়া গোল করেছেন মাত্র ৭ দিন আগে ক্লাবটিতে যোগ দেয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোয়াও পেদ্রো। যেই ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছেন পেদ্রো, সেই ক্লাবেই তার সিনিয়র ক্যারিয়ারের শুরু। তার ফ্লুমিনেন্সকে বিদায় করে খারাপ লাগছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের।
২০১১ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে ফ্লুমিনেন্সের ইয়ুথ ক্লাবে যোগ দেন জোয়াও পেদ্রো। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটানা ৮ বছর সেখানেই ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এর মধ্যে সিনিয়র ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ২৯ ম্যাচ। আর মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেই ফ্লুমিনেন্সকেই বিদায় করলেন ২৩ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার।
নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে প্রতিটি গোলের পর দু’হাত তুলে দুঃখ প্রকাশ করেন পেদ্রো। যদিও চেলসির সতীর্থরা তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। ম্যাচের পর পেদ্রো বলেন, ‘ফ্লুমিনেন্স আমাকে সব কিছু দিয়েছে। তারা আমাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আমি আজ এখানে, কারণ তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল। আমি খুব কৃতজ্ঞ, কিন্তু এটাই ফুটবল। আমাকে পেশাদার হতে হবে। তাদের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার কাজ তো করতেই হবে।’
তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষেও খেলেছেন পেদ্রো। তবে তখন বেশিক্ষণ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ফলে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে শুরুর একাদশে খেলে বেশ খুশি পেদ্রো।
ব্রাজিলিয়ান এই তারকা বলেন, ‘আজ আমি শুরু থেকেই খেলেছি, তাই নিজের খেলা দেখানোর বেশি সুযোগ ছিল এবং আমাকে গোল করতেই হতো। দল জিতেছে, দল ভালো খেলেছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’