কুয়েতে ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু হওয়ায় পর্যটন, বাণিজ্য ও পরিবার নিয়ে ভ্রমণে নতুন দিগন্তের শুরু হয়েছে। এই ই-ভিসা কেবল পর্যটকদের জন্য নয় উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পর্যটন, পরিবার, ব্যবসা এবং সরকারি প্রতিনিধিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া হবে।
পর্যটন ভিসা ৯০ দিন, পারিবারিক ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক ভিসা ৩০ দিন মেয়াদ থাকবে।
ই-ভিসা পেতে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। এতে কাগজপত্র ও দাপ্তরিক ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। কেবল পর্যটকদের জন্য নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
কুয়েত শিগগিরই জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা পদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ছয়টি উপসাগরীয় দেশের মধ্যে একই ভিসায় চলাফেরা করা যাবে। বাহরাইন বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আইনুল হক সরকার বলেন, কুয়েত এরই মধ্যে ই-ভিসা চালু করেছে। ছয়টি উপসাগরীয় দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন একটি ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই।
কুয়েত বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি লুৎফর রহমান মুখাই আলী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী গ্রুপ তৈরি করে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক সংগঠন তৈরি করা যাবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক পণ্য মধ্যপ্রাচ্যে আনা যাবে।
এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে পর্যটন ও ব্যবসায়িক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা দেবে।
আরআর/টিএ