বলিউডে শহুরে প্রেমের গল্প বললেই অনেকের মনে পড়ে যায় এক দশকেরও বেশি আগে মুক্তি পাওয়া ‘ককটেল’ ছবির কথা। ২০১২ সালে এই ছবি শুধু প্রেম নয়, বন্ধুত্ব, আত্ম-অন্বেষণ ও নারীর আত্মপরিচয়ের এক সাহসী অধ্যায় ছিল। দীপিকা পাড়ুকোনের “ভেরোনিকা” চরিত্র সেই সময় এক নতুন নারীর চেহারা তুলে ধরেছিল বলিউডে- ভাঙা, বেপরোয়া, অথচ ভীষণ শক্তিশালী। সেই গল্পের আবহে ১৩ বছর পর আবারও ফিরছে ‘ককটেল টু’।
তবে এবার প্রশ্নটা একেবারে সোজাসাপ্টা- দীপিকার মতো শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে পারবেন কি কৃতি সেনন অথবা রাশমিকা মান্দানা? ছবিতে নতুন মুখ হিসেবে থাকছেন কৃতি, রাশমিকা এবং শহিদ কাপুর। যদিও এটি সরাসরি সিকুয়েল নয়, গল্পের ধরনে আছে আধুনিক সম্পর্কের জটিলতা ও সময়োপযোগী এক্সটেনশন।
কৃতির আগের কাজের দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়, তিনি ইমোশন আর হালকা হাসির মিশ্রণে সাবলীল। কিন্তু ‘ককটেল’ ধাঁচের চরিত্রে তাকে যদি নিজের সীমা ছাড়িয়ে যেতে হয়, তবে দরকার হবে কিছুটা ‘রফ’, ভাঙা কিন্তু সাহসী মেজাজের অভিনয়।পলিশড না হয়ে চরিত্রের খাঁটি দিকগুলোতে নিজেকে ভাঙতে হবে।
অন্যদিকে রাশমিকা মান্দানা ইতিমধ্যেই প্যান-ইন্ডিয়া দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ। ‘পুষ্পা’ কিংবা ‘গুডবাই’-এর মতো ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে বলিউডে এখনো সেই ‘ব্রেকআউট’ পারফরম্যান্সটা বাকি। ককটেল ২ হতে পারে তার সেই সুযোগ, যেখানে তিনি চরিত্রের গভীরে ঢুকে নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করতে পারেন।
এই ছবির সাফল্য শুধু তারকাদের ওপর নয়, নির্ভর করবে চিত্রনাট্যের উপরেও। গল্পে থাকতে হবে বাস্তবতার প্রাবল্য, আবেগের টানাপোড়েন, চরিত্রগুলোর অসম্পূর্ণতা ও মানবিক সংকট। আর সবচেয়ে বড় কথা, অভিনেত্রীদের নিজস্ব গ্ল্যামার পেরিয়ে চরিত্রটিকে নিজের মতো করে নির্মাণ করতে হবে।
তাই প্রশ্ন একটাই- কে হবেন পরবর্তী “ভেরোনিকা”? আলো জ্বলছে, মঞ্চ প্রস্তুত। এখন দেখা যাক, এই যুগের ককটেল কার জন্য ইতিহাস হয়ে ওঠে।
কেএন/টিএ