নবাব পরিবার হারাল ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি

একের পর ঘটনা ঘটেই চলেছে সাইফ আলি খানের জীবনে। বছরের শুরুতেই অভিনেতার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছিল। সে ঘটনার বীভৎসতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে অভিনেতা। ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই চলছিলই। এ বার সেই লড়াইয়ে হেরে গেলেন সইফ! যদিও এই রায় যখন বেরিয়েছে সেই সময় দুই পুত্র ও স্ত্রী করিনা কপূরকে নিয়ে লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন অভিনেতা।

বেশ কয়েক বছর ধরেই পটৌডীদের মধ্যপ্রদেশের এই সম্পত্তি দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর ছিল স্থগিতাদেশ। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে হাই কোর্টের তরফ থেকে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। এমনিতেও এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলে এ বার পটৌডীদের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি দখলের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ সরকারের কোনও বাধা রইল না। তাই নবাব মনসুর আলি খান পটৌডীর সম্পত্তির দখল যে কোনও মুহূর্তে নিতে পারে সরকার। এই জমির ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদউল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। হামিদউল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে পটৌডীদেরই অধিকার ছিল ভোপালের সম্পত্তির উপরে। কিন্তু এই জমি চলে আসে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর আওতায়। সেই আইনের ভিত্তিতেই এই জমি দখল করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত দু’টি দেশকে ‘শত্রু দেশ’ হিসাবে চিহ্নিত করে বলে ভারত সরকার— পাকিস্তান ও চিন। সেই অনুযায়ী ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এ দেশে ‘এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৬৮’ তথা ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ চালু করা হয়। সেই আইনে বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি বা পরিবার পাকিস্তানে বা চিনে পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের রেখে যাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসাবে চিহ্নিত হবে। পরবর্তী কালে বেশ কয়েক বার এই আইনে সংশোধনী এনে এই ধরনের সম্পত্তিতে সরকারের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়।

২০১৭ সালে সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘শত্রু সম্পত্তি’গুলির প্রকৃত মালিক পাকিস্তান বা চিনে চলে যাওয়ার পর তাঁদের উত্তরাধিকারীরা এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না। ‘শত্রু সম্পত্তি’ ভারত সরকারের অধীনে চলে আসবে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া হস্তান্তর, বিক্রি বা বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এই সম্পত্তির অধিকার পুর্নগ্রহণের আবেদন করেছিলেন সইফের পরিবার কিন্তু। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা পরবর্তী শুনানির।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পলক কান্না করেননি, কান্না হয়ে গেছে: ইলিয়াস Jul 09, 2025
img
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত Jul 09, 2025
img
আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ হবে : আসালাঙ্কা Jul 09, 2025
img
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের আলিম পরীক্ষা স্থগিত Jul 09, 2025
img
স্থগিত হল কুমিল্লা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা Jul 09, 2025
img
প্রাক্তন স্বামীকে 'দাদা' বলে সম্বোধন করলেন অভিনেত্রী! Jul 09, 2025
img
আনচেলত্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিল স্পেনের আদালত Jul 09, 2025
img
আওয়ামী লীগ উইল নেভার কামব্যাক : হাসনাত আব্দুল্লাহ Jul 09, 2025
img
অতীতের মতো আর ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রেজাল্ট দেওয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা Jul 09, 2025
img
আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে : রাশেদ প্রধান Jul 09, 2025
img
ইসিকে আসন বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে আইনি দিক খতিয়ে দেখার নির্দেশ Jul 09, 2025
img
নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শাপলা ব্যবহার না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির Jul 09, 2025
img
বাড়ছে মহুরী নদীর পানি, ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি Jul 09, 2025
img
মোসাদ্দেককে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ লিপুর Jul 09, 2025
img
শেখ হাসিনাকে হটিয়ে আমরা ভয় ভেঙে দিয়েছি: নাহিদ Jul 09, 2025
img
প্রস্তুতি শেষ হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে: প্রেস সচিব Jul 09, 2025
img
আমি ফুলটাইম রাজনীতিবিদ, পার্টটাইম অভিনেত্রী : স্মৃতি ইরানি Jul 09, 2025
img
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Jul 09, 2025
গোসল ফরজ অবস্থায় যে পাঁচটি কাজ করা নিষেধ Jul 09, 2025
জাতীয় দলে নেই, তবু ফুটবলের সঙ্গেই থাকছেন সানজিদা Jul 09, 2025