গত রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরের একটি হোটেল কক্ষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা পেশাদার বক্সার পেদ্রো আন্তোনিও ‘টনি’ রদ্রিগেজ বার্সেনাসকে। তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি রিংয়ে লড়েছিলেন ‘পেলেয়া এন এল বারিও’ নামক একটি বক্সিং ইভেন্টে।
শনিবার রাতে রদ্রিগেজ ছয় রাউন্ডের একটি প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে আমেরিকান প্রতিপক্ষ ফিলিপ ভেলার মুখোমুখি হন। ম্যাচ শেষে টনি তার স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন এবং রাতের খাবারের পর হোটেলে ফিরে বিশ্রামের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু পরদিন সকালে তিনি আর জাগেননি।
বক্সারের স্ত্রী বলেন, ‘ম্যাচ শেষে সে বেশ স্বাভাবিক ছিল। বলেছিল অন্য বক্সারদের সঙ্গে ডিনার করবে। কিন্তু এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল, ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না।’
অবশেষে রবিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।
লড়াই-পরবর্তী জটিলতা থেকেও মৃত্যুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
টনি রদ্রিগেজ ২০০৭ সালে পেশাদার বক্সিংয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। জীবিকার তাগিদে আইএমএসএসে স্ট্রেচারবাহক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন নিজের বক্সিং ক্যারিয়ার। বড় কোনো প্রমোটারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় তিনি নিজেই নিজের ফাইট ঠিক করতেন, প্রশিক্ষণ নিতেন এবং এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াতেন নতুন সুযোগের খোঁজে। ক্যারিয়ারে তার রেকর্ড ছিল ১৫টি জয় (৭টি নকআউট), ২৫টি পরাজয় এবং ৩টি ড্র।
২০১৪ সালে তিনি ভবিষ্যৎ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লুইস ‘পান্তেরা’ নেরির সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, যদিও ওই ম্যাচে তিনি তৃতীয় রাউন্ডে নকআউট হন। মিডিয়ার নজরের বাইরে থেকেও তিনি সততা ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য সহকর্মী ও প্রশিক্ষকদের কাছে সম্মানিত ছিলেন।
আইআর/ টিএ